রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

১৫ লাখ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পাচ্ছে ‘নগদে’

Paris
Update : সোমবার, ৩ মে, ২০২১

এফএনএস : চলমান করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পেশায় কাজ হারানো ১৪ লাখ ৯৭ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ শুরু করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। জিটুপি পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত প্রতিটি পরিবার ২ হাজার ৫শ টাকা করে সহায়তা পাচ্ছে, যা ঈদের আগেই বিতরণ শেষ করবে দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’। ভোলা, চট্টগ্রাম এবং জয়পুরহাট জেলায় ১৫টি দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা বিতরণের মাধ্যমে গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আয়োজন করা অনুষ্ঠানে নিজ নিজ জেলা থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনাররাসহ ভাতাভোগীরা অংশ নেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) আহমদ কায়কাউস। এ সময় অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ‘নগদ’ ছাড়াও আরও দু’টি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সবমিলে এই দফায় প্রায় ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার পরিবারকে ঈদ উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এই দফায় ‘নগদ’র মাধ্যমে মোট সুবিধাভোগীর ৪৫ শতাংশ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা বিতরণ করা হবে। বাকি দু’টি অপারেটরের একটি ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং অপর একটি কোম্পানি অবশিষ্ট অংশ বিতরণ করবে।

প্রথম দিন সবমিলে প্রায় ১১ হাজার জন সুবিধাভোগীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি সাহায্যের এই টাকা ক্যাশআউটের ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের বাড়তি কোনো খরচ লাগছে না। মোট ক্যাশআউট খরচের ১৫ টাকা দেবে সরকার, বাকি অংশ বহন করবে ‘নগদ’। সুবিধাভোগীরা প্রত্যেকে প্রতি হাজারে ‘নগদ’র অ্যাপ বহির্ভূত ক্যাশআউট রেট হাজারে ১৪ টাকা ৯৪ পয়সা হিসেবে মোট সাড়ে ৩৭ টাকা প্রাপ্ত হবেন। ফলে প্রত্যেকের ‘নগদ’ ওয়ালেটে জমা হবে মোট ২ হাজার ৫৩৭ টাকা, যা তিনি ক্যাশআউট না করেও প্রয়োজনে যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা বিতরণ বিষয়ে ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, কোভিডের এই সময়ে উন্নত বিশ্বও যেখানে বেশি ট্যাক্স দেয়, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র এবং কাজ হারানো মানুষের পাশে দাঁড়াতেই সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী। এখানেই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতা। তাছাড়া ডিজিটাল সেবার প্রতিও তাঁর বাড়তি আগ্রহের কারণে এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে সরকারের অনুদান পেতে পারছেন দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষ।

তানভীর এ মিশু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই যে, ‘নগদ’র সেবার প্রতি আস্থা রেখে আগের মত এবারও তিনি তাঁর ঈদ উপহারের সবচেয়ে বড় অংশটি বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছেন ‘নগদ’-কে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সব নিয়ম মেনে সবচেয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারের দেওয়া তালিকা অনুসারে সব সুবিধাভোগীর কাছে নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারি সহায়তা পৌঁছে যাবে। ‘নগদ’ সব সময়ই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার ধারাবাহিকতা এক্ষেত্রেও বজায় থাকবে। এর আগে গত বছরও ঈদের আগে কোভিডের কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও ‘নগদ’-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ১৭ লাখ পরিবারের কাছে ঈদ উপহার পৌঁছে দেওয়ার।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris