শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব পবায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ইসলামী নার্সিং কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত : আব্দুল ওয়াদুদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন হজ পালনের ধাপসমূহ

পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ভর্তুকি দেয়া হবে : কৃষিমন্ত্রী

Paris
Update : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : পাট বীজে কৃষকদের আগ্রহী করতে এবং তারা যাতে চাষ করে লাভবান হতে পারেন সেজন্য প্রণোদনা বা ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। গতকাল বৃহস্পতিবার পাট বীজের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনার ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পাট বীজের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। দেশে পাট বীজ উৎপাদনের মূল সমস্যা হলো অন্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা চাষ করতে চায় না। পাট বীজে কৃষকদের আগ্রহী করতে ও কৃষকেরা যাতে চাষ করে লাভবান হয় সেজন্য প্রণোদনা বা ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে।

এ ছাড়া পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে একটি সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী উদ্যোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পাটের জিনোম আবিষ্কার করেছে। সেই জিনোম ব্যবহার করে দেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল পাটের জাত উদ্ভাবন করেছে; যার ফলন ভারতের পাটের চেয়ে অনেক বেশি। কৃষক পর্যায়ে এসব জাতের চাষ জনপ্রিয় করতে পারলে পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব। সেজন্য, এসব দেশীয় জাত দ্রুত জনপ্রিয় করতে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, সম্প্রসারণকর্মী ও বিজ্ঞানীদেরকে দ্রুততার সঙ্গে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, পাট বীজ চাষের জন্য জমির স্বল্পতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিত্যক্ত সুগার মিলের জমি পাট বীজের উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সভায় জানানো হয়, দেশে বর্তমানে উৎপাদিত পাটের ৮৫ ভাগই তোষা জাতের পাট। এ পাট বীজের চাহিদার প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ ভারত থেকে আনতে হয়।

এই বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ৫ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ২০২৫-২৬ এই ৫ বছরের মধ্যে দেশে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাট বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চমূল্যের রবি ফসলের পরিবর্তে কৃষক পাট বীজ উৎপাদনে তেমন আগ্রহী হয় না। হিসাব করে দেখা গেছে, তোষা পাট বীজ চাষ করে একর প্রতি কৃষকের নিট লাভ ৪৮ হাজার টাকা, যেখানে ফুলকপি চাষে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বাঁধাকপি চাষে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিট লাভ হয়।

তাই পাট বীজ উৎপাদনের পরিবর্তে পাটচাষের সময় কৃষক বাজার থেকে বীজ কিনে চাষ করাকেই লাভজনক বলে মনে করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঞ্চালনায় সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris