ভাঙ্গুড়া সংবাদদাতা : করোনা মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সেবিকারা। সেবা নিতে এসে কেউ যেন বঞ্চিত না হন সেজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়েছেন বিশেষ উদ্যোগ। ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে গর্ভবতী সেবাসহ সকল চিকিৎসা কার্যক্রম। করোনা আতঙ্কে রোগীরা বিবিন্ন জায়গায় হয়রানি হলেও সুচিকিৎসা মিলছে ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে। মহামারির এ সময় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হালিমা খানম জীবনকে বাজি রেখে সঠিক ভাবে হাসপাতার পরিচালনাসহ অসহায় মানুষের পাশে থেকে চিকিৎসা দেওয়াই সুনামের সাতে ভাঙ্গুড়া বাসির আস্থা অজন করেছেন।
২০১৭ সালে পদউন্নতি পেয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা হাসপাতালে টিএইচএ হিসেবে দায়িক্ত গ্রহন করেন ডাঃ মোছাঃ হালিমা খানম । এর পর থেকেই সে তার সুদক্ষ হাতে সুনামের সাথে প্রশাসনিক দপ্তরের কাজের ফাকে নিয়মিত আউট ডোরে প্রতিদিন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দায়িক্ত গ্রহণের পর থেকেই ডাঃ মোছাঃ হালিমা খানম এ হাসপাতালেন অবকাঠামো উন্নয়ন, নিয়মিত শত ভাগ রুগিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া,ওষদ সরবরাহ,রুগীদের খাবারের মান যাচাই বাছাই করে নেওয়াসহ হাসপিতাল পরিস্কার পরিছন্নো রাখায় কঠর ভুমিকা পালন করেন।
এছাড়াও এই হাসপাতাল নারী বান্ধব হাসপাতালে পরিনত করেছেন। প্রতিমাসে এই হাসপাতালে অন্ততো ৬০ টির অধিক নরমাল ডেলিভারী করোনো হয়। করোনা কালে চিকিৎসা আরো জোরদার করেছেন। করোনা ভাইরাস টেস্টের নমুনা সংগ্রহ ফলাফল প্রদান নিয়মিত চলছে। ডাঃ মোছাঃ হালিমা খানম ২০০৩ সালের রংপুর মেডিকেল কালেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ২৭তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এ পেশায় আত্মনিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন যতদিন বেচে আছি অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাব। কিন্তু এক দুই এক জন সাংবাদিক আমার কাছথেকে বিশেষ সুবিদা না পাওয়াই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাকিবিল্লাহ ও পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসের বলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হালিমা খানম নিজের জীবনকে বাজি রেখে যে ভাবে হাসপাতাল পরিচালনাসহ রুগীদের চিকিৎসা সেবাদিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।