শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

লকডাউনের আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের বাড়ি ফেরা

Paris
Update : বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের লকডাউন। এ উপলক্ষে পথে-ঘাটে রাজধানী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামে গতকাল মঙ্গলবার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই তারা বাড়ি ফেরেন। এদিন গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় তৈরি হয়। করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রো, প্রাইভেটকার, সিএনজিসহ নানা মাধ্যমে পাটুরিয়া ও আরিচাঘাট হয়ে মানুষ গ্রামের বাড়ি ফিরেছেন। এ সুযোগে চড়া ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।

অবৈধভাবে দূরপাল্লার রুটে যাত্রী বহনকারী এসব পরিবহন আটকে ট্রাফিক পুলিশকে মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায় করতেও দেখা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার গাবতলীতে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকে শহরে থাকা মানুষেরা গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে এসে অপেক্ষা করছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও দূরপাল্লার বাস না পেয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, সিএনজি, পিকআপ ও ট্রাক ভর্তি করে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট হয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকে ছোট শিশু ও পরিবারসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

দেখা গেছে, গাবতলী থেকে ঘাট পর্যন্ত পৌঁছে সেখান থেকে লোকাল বাসে তারা বাড়ি যাচ্ছেন। উপচেপড়া মানুষের ভিড় থাকায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাইক্রোবাস অথবা প্রাইভেটকার থামলেই যাত্রীরা যাবেন নাকি, যাবেন নাকি বলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়ার লোভে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাড়ি ভর্তি করে মানুষ নিয়ে যায় এই পরিবহনগুলো।

গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হাসানাত বলেন, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে অবৈধভাবে যেসব মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে যাত্রী নেয়া হচ্ছে, তাদের আটক করে যাত্রী নামিয়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা স্বরূপ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখানে তিনি একা ডিউটি করায় সবাইকে আটক করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এই সুযোগে কেউ কেউ যাত্রী নিয়ে চলে যেতে পারছেন। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬০ জনকে আটক করে মামলা দায়ের করেন বলেও জানান তিনি।

শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীর ঢল: লকডাউন এবং রোজাকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটেও। গতকাল মঙ্গলবার) সকাল থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ঘাট এলাকায় ভিড় জমায়। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা তৈরি হয়। বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাট সূত্র জানায়, পারাপারের জন্য ঘাটে অপেক্ষা করেছিল সহস্রাধিক যানবাহন। এসব যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৫টি ফেরি ব্যবহার করা হয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশনায় লঞ্চও বন্ধ রয়েছে।

ফলে বাড়তি চাপ পড়েছে ফেরিতে। আর নিয়ম অমান্য করে কর্তৃপক্ষের সামনেই চলছিল স্পিডবোট। এসব নৌযানে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট, স্বাস্থ্যবিধি কোনটই মানা হয়নি। নেয়া হয় দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া। এ ছাড়া হাজার-হাজার যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, লঞ্চ বন্ধে ফেরিতে যাত্রীর বেশি চাপ পড়েছে। যাত্রীদের সচেতন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

পদ্মাপাড়ে উপচে পড়া ভিড়: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খায় ঘাট কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরি, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়ি ফেরেন।

এদিকে এ সুযোগে তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া নেন যানবাহন মালিকরা। আবার স্বাস্থ্যবিধি না মানা, যানবাহনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে দেখা যায়নি প্রশাসনের কোনো তৎপরতা। ফলে বেড়েই গেছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্র জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সোমবার থেকে সাত দিন সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তবে জরুরি প্রয়োজনে উভয় ঘাটে দুটি ছোট ফেরি চালু রাখতে বলা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবৎ ফেরি কম চলায় ঘাটে মালবাহী ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়। তাই রোববার থেকে ১৫টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris