শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউন সত্ত্বেও ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যেও গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রজেক্ট (একিউআইসিএন) সকাল ৮টায় এ তথ্য জানায়। উল্লেখ্য, বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ পিএম২.৫ থাকলে সেটাকে ‘বিশুদ্ধ’ বায়ু বলা হয়। ৫১ থেকে ১০০ পিএম২.৫ থাকলে সেটাকে ‘মডারেট’ পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ পিএম২.৫ মানে থাকলে সেই বাতাসকে ‘স্পর্শকাতরদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ পিএম২.৫ মানকে বিবেচনা করা হয় ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে।

বায়ুর মান ২০১ থেকে ৩০০ পিএম২.৫ হলে সেটাকে বিবেচনা করা হয় ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পরিস্থিতি হিসেবে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকার বায়ুর মান রেকর্ড হয়েছে ২৩৫ পিএম২.৫, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির। অবশ্য সকাল ৯টার দিকে বায়ুর মানের কিছুটা উন্নতি হয়। একিউআইসিএন বলছে, সকাল ৯টায় ঢাকার বায়ুর মান দাঁড়ায় ১২৭ পিএম২.৫, যা ‘স্পর্শকাতরদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ের। দুপুর ১২ টায় এসে দেখা যায়, পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যেতে শুরু করেছে।

এই সময় ঢাকার বায়ুর মান নির্ধারিত হয়েছে ১৫৮ পিএম ২.৫, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ের। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছর লকডাউন দেয়া হলে মানুষের বাইরে বের হওয়াসহ শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়। ফলে ওই সময় অতি দূষিত ঢাকার বায়ুর মান বেশ ভালো হয়ে যায়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বায়ুর মানেও উন্নতি ঘটে।

তারপর লকডাউন উঠে গেলে ফের দূষিত হতে শুরু করে দেশের বায়ু। সংক্রমণ বাড়ায় প্রায় এক বছর পর ফের দেশে আবারও লকডাউন চলছে সীমিত পর্যায়ে। তবে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়নি, চলমান রয়েছে উন্নয়ন কাজও। বন্ধ হয়নি মানুষের বাইরে বের হওয়া। দোকান-পাট, যানবাহনও চলছে সীমিত পরিসরে। ফলে বিধিনিষেধ দিলেও বায়ুর মানে উন্নতি হয়নি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris