শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

অভিনেত্রীরা নিজের বাচ্চাকে কেন লুকিয়ে রাখেন?

Paris
Update : সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১

এফএনএস : “আমাকে অনেকে বলে, ‘তোমার বয়স বেশি হচ্ছে, তোমার বয়স চলে যাচ্ছে, গ্লামার চলে যাচ্ছে। একেবারে ১০-১৫টি সিনেমা করে ফেলতে হবে। না হলে তোমাকে বিয়ে করে ফেলতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।’ আমি জানি না আমাদের এই চিন্তাধারা কবে বন্ধ হবে। আসলে মানুষ নিজের চিন্তা বাদ দিয়ে অন্যের ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করতে ভালোবাসে। অন্যরা কি করছে সেটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়।

এসব কারণে আমাদের সমাজে মেয়েরা তার বয়স বলতে পারে না, বিয়ে হয়েছে বলেতে পারে না, বাচ্চা আছে বলতে পারে না। কি আশ্চর্য! অভিনেত্রীদের বয়স অনুযায়ী গল্প লেখা হচ্ছে না সেটা আমাদের দোষ না। সময় চলে যাচ্ছে এই কথাগুলো আসে কেনো? আমাদের সমাজের ধারণা যে- আমাকে সারাজীবন তরুণী থাকতে হবে। আমারা বয়স বেশি হওয়া যাবে না। এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে সব বাঁধা ফেলে মেয়েরা এখন অভিনেত্রীর পাশাপাশি পরিচালক, প্রযোজক হচ্ছে। এটা ভালো দিক।”

লেখক মোহম্মদ নাজিম উদ্দিনের খ্যাতনামা উপন্যাস নিয়ে কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ওয়েব সিরিজ-‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’। এই ওয়েব সিরিজে মুসকান জুবেরির চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। তার কথায়, “এটি একটি উপন্যাসের চরিত্র। যারা উপন্যাসটি পড়েছেন তারা এই চরিত্র সম্পর্কে জানেন। মোহম্মদ নাজিম উদ্দিনের এই উপন্যাসের গল্প নারী প্রধান। সেই গল্পের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে অনেক মজার।

সেই সঙ্গে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি যখন আমাকে কাস্ট করেছেন এবং তিনি যখন আমাকে ফোন করলেন তখন আমি চিন্তাও করতে পারছিলাম না সৃজিতের মতো একজন মানুষ আমাকে ফোন করতে পারেন। তারপর যখন বুঝলাম উনিই সৃজিত এবং গল্পটির জন্য তিনি আমাকে পছন্দ করেছেন। ওই রাতেই উপন্যাসটি পড়ে ফেলি। বইটি পড়ার পর চিন্তা করছিলাম সৃজিত এই চরিত্রে আমাকে দেখতে পেয়েছে। এই বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে বিস্মিত করেছিলো। এরপর এই চরিত্র ধারণের জন্য উনি আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছেন। আমি মনে করি, যে কোন অভিনেত্রী এই চরিত্রটা করতে চাইবেন। সব থেকে বড় কথা হলো বাংলাদেশ-কলকাতায় নারী প্রধান চরিত্রে ছবি খুব কম হয়।

সেই জায়গা থেকে সৃজিত মুখার্জি যে আমাকে এই ছবির জন্য পছন্দ করেছেন সেই আমার কাছে ভালো লেগেছে।” ২০১০ সালে ১৪ এপ্রিল মুক্তি পায় বাঁধন অভিনীত ছবি ‘নিঝুম অরণ্যে’। এরপর কেটে গেছে ১০ বছর। এতোদিন পর আবারও ছবিতে বাঁধন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যখন আমি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবিটি করেছিলাম তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। অন্যদিকে আমি মেডিকেলে পড়া অবস্থায় ওই কাজগুলোতে বেশি সময় দেওয়া সম্ভব ছিলো না। আবার অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম যে আমি মিডিয়ায় কাজ করবো কি না।

কারণ, আমি এখন যে মিডিয়াতে আছি এটাকে সামাজিকভাবে ভালো চোখে দেখা হয় না। আমার পারিবারিক দিক থেকে এটা স্বীকৃত না। এজন্য আগে আমি কাজ কম করতাম। অনেক কাজ ছেড়ে দিতাম। একপর্যায়ে বিয়ে করে একেবারেই কাজ ছেড়ে দিলাম। এরপর আমি হেরে গেলাম। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে যখন হেল্পলেস ছিলাম তখন এই মিডিয়ার লোকেরাই আমাকে সাহায্য করেছেন। এখন আমি এই মিডিয়াতে অনেক গর্বের সাথে আছি।’

গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘গণমাধ্যমে নারী/অভিনেত্রীদের নিয়ে মাঝেমধ্যে উল্টো-পাল্টা শিরোনাম করা হয়। এটা আগে থেকে ছিলো কিন্তু এখন খানিকটা বেড়েছে। যেটা আসলেই কাম্য নয়। এখন গণমাধ্যম-কর্মীরা বেশি ক্লিক চায়। বেশি ভিউ চায়। সেটা করতে গিয়ে একজন নারী/অভিনেত্রীর যে সম্মানহানি হচ্ছে তারা সেটা কখনো দেখার চেষ্টা করেন না। আমার সাথেই এমন ঘটনা ঘটেছে। মানুষকে ছোট করা বা একজন অভিনেত্রীকে হেয় করা শিরোনাম চাইনা।’ অভিনেত্রী বাঁধন বলেন, ‘পিপলু ভাইয়ের সাথে কাজ করার খুব ইচ্ছে ছিলো। আমি ওনার একটা বিজ্ঞাপন করেছি।

তারপর উনি আমাকে একটা নজরুলগীতি গান পাঠান। এটা নতুন করে গেয়েছেন সুস্মিতা আনিস। সুর করেছেন অর্ণব। গানটি অসম্ভব সুন্দর। এই গানের মধ্যে নজরুল যে বার্তা দিয়েছেন সেটা আমাকে ছুঁয়ে গেছেন এবং আমাদের পুরো টিমকে ছুঁয়ে গেছে। আমাদের টিমের প্রচেষ্টা যেটা ছিলো সেটা হলো- সমাজে নারীরা যেভাবে নিপীড়নের শিকার, তারা সমাজে যেভাবে বঞ্চনার শিকার এবং স্বাধীনতা থেকে তারা যেভাবে বঞ্চিত সে বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে।’

ওয়েব সিরিজে অশ্লীলতা নিয়ে অভিনেত্রীদের দিকে বেশি তীর ছোঁড়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, ‘অভিনেত্রীদের নিয়ে বাজে, কুৎসিত, নোংরা ও অশালীন মন্তব্য শেয়ার হচ্ছে। আমি মনে করি যে সেইসকল নারী/অভিনেত্রীদের মানহানির মামলা করা উচিৎ। কিন্তু এগুলো নিয়ে করো কোন মাথা ব্যথা নেই। আসলে আমরা মানুষের সমালোচনার জন্য বসে থাকি। সবার আগে বসে থাকে মেয়েরা। ছেলেরা তো বলবেই। এজন্য মেয়ে আরেকটা মেয়েকে সে যা তা বলবে এ রাইট কারো নেই।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris