শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

সেঞ্চুরির রেকর্ডে শীর্ষে মুমিনুল, দুইয়ে তামিম

Paris
Update : রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

এফএনএস : জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মানেই যেন মুমিনুল হকের ব্যাটে রানের ফোয়ারা! চট্টগ্রামের পয়মন্ত ভেন্যুতে শনিবার দশম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। এই সেঞ্চুরিতে মুমিনুল ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে। টেস্টে এতদিন সবচেয়ে বেশি ৯ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন তামিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মুমিনুলের ব্যাট। তার ব্যাটে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০০ ছাড়িয়েছে। লিডও ৪০০’র কাছাকাছি। মুমিনুলকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া লিটন দাসও পেয়েছেন ফিফটি। যদিও ৬৯ রানে ফিরেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। লিটনের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে গেছেন মুমিনুলও। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে কেমার রোচের হাতে ধরা পড়ার আগে খেলেছেন ১১৫ রানের ঝলমলে ইনিংস।

১৮২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১০ বাউন্ডারিতে। আগের দিনে ৩০ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে মাঠে নামেন মুমিনুল। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ৮৩ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান মুমিনুল। বিরতি থেকে ফিরে তুলে নেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। রাকিম কর্নওয়ালের বলটি কভারের দিকে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে পূরণ করেন দশম সেঞ্চুরি। ১৭৩ বলে মাইলফলকটি স্পর্শ করতে মুমিনুল মেরেছেন ৯টি বাউন্ডারি। শুক্রবার ১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মাঠে নামেন মুমিনুল। ঠান্ডা মাথার এই ব্যাটসম্যান উইন্ডিজ বোলারদের দেখেশুনে খেলেন।

ক্যারিবীয় পেসার গ্যাব্রিয়েলের বাউন্সার ও রোচের বৈচিত্র্যময় বোলিংও কাবু করতে পারেনি। দুই প্রান্তে স্পিনাররাও বিপদে ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের সব কৌশল ব্যর্থ করে দিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। যা নির্দিষ্ট কোনও ভেন্যুতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের পক্ষে একটি রেকর্ডও। একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে মাহেলা জয়াবর্ধনের সবচেয়ে বেশি ১১টি সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে। তিনি সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এই কীর্তি গড়েছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে মুমিনুলের সেঞ্চুরির সংখ্যা ১০। যার মধ্যে চট্টগ্রামেই করেছেন সাতটি, বাকি তিনটি ঢাকায়। ২০১৩ সালে মুমিনুল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৮১ রানের ইনিংস।

ওটাই এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস। ওই বছরের ২১ অক্টোবর ঢাকায় নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামের পয়মন্ত ভেন্যুতে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। একই বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাটিতে পান তৃতীয় সেঞ্চুরি, খেলেন অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংস। টানা কয়েক ইনিংস ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংসেই চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১০৫ রানের ইনিংস।

টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রায়ান লারা, সুনীল গাভাস্কারদের ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তারই শুধু এই কীর্তি আছে। এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বরে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল। খেলেন ১২০ রানের ইনিংস। দুই বছরের ব্যবধানে তাদের বিপক্ষে পেলেন আরেকটি শতক। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুমিনুলের সর্বোচ্চ তিনটি করে সেঞ্চুরি। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরি দুটি করে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris