এফএনএস : মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী বাঙালি কবি ও নাট্যকার। বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্বও বলা হয় তাকে। ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশে জন্ম হলেও মধুসূদন যৌবনে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে মাইকেল মধুসূদন নাম গ্রহণ করেন এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্নিবার আকর্ষণবশত ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে মধুসূদন আকৃষ্ট হন নিজের মাতৃভাষার প্রতি। এই সময়েই তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করতে শুরু করেন।
মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত ‘মেঘনাদবধ’ কাব্য নামক মহাকাব্য। সেই মাইকেল মধুসূদনকে চেনেন না কলকাতার নন্দিত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়! সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই উঠলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেজন্য বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। ঘটনার মূলে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন। সোমবার ছিলো এই কবির জন্মদিন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে প্রসেনজিৎ লিখেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
লেখা ঠিকই ছিলো। কিন্তু মাইকেল মধুসূদন দত্তের বদলে তিনি পোস্ট করে ফেলেন লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ছবি! ব্যাস, শুরু হয়ে গেল সমালোচনা। তবে ছবিটি পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরই সেটি সরিয়ে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন প্রসেনজিৎ। তবে ততক্ষণে আগের পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে অভিনেতার জ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ করছেন। অনেকে আবার ‘বুম্বাদা’র পাশে রয়েছেন এটাকে মিসটেক দাবি করে।
এদিকে প্রসেনজিৎ মাইকেল মধুসূদন দত্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলা সাহিত্যের, বিশেষ করে রেনেসাঁস সময়ের অন্যতম কবি, নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা মাইকেল মধুসূদন দত্ত, যার শ্রেষ্ঠ কাজগুলির মধ্যে সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন আমাদের মাতৃভাষাকে করে তুলেছে আরও সমৃদ্ধ – সেই মহামানবের জন্মবার্ষিকীতে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।’