শাহ্ আলম সেলিম, লালপুর : আজ ১৬ জানুয়ারী ২ ধাপ পৌরসভা নির্বাচনে নাটোরের লালপুরের গোপালপুর পৌসভায় মেয়র পদে ভোট যুদ্ধ হবে ত্রি-মুখি। রাত পোহালেই গোপালপুর পৌরসঅভার ৯ টি কেন্দ্রে ভোটাদের ভোট প্রদান শুরু হবে। ৪ জন মেয়র ও ৩৬ জন কাউন্সিলার সহ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলার ১২ জন গোপালপুর পৌরসভা ভোটে অংশ গ্রহণ করেছেন। এসকল প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী হয়ে কে হাসবে সুখের হাসি এনিয়ে ভোটাদের মধ্যে চলছে আলোচনার ঝড় উঠেছে। গোপালপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন মেয়র পদপ্রার্থী ভোটের মাঠে ভোট যুদ্ধে নেমেছে।
এরা হলো আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত মেয়র প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা নৌকা প্রতীক, বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন কচি ধানের র্শীষ প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুঞ্জুরুল ইসলাম বিমল রেল ইঞ্জিন প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে ভোট যুদ্ধে নেমেছে। সরেজমিনে ভোটের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ৪ জন মেয়র পদে ভোটের মাঠে ভোট যুদ্ধে নেমেছে। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত মেয়র প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।
তাঁর পক্ষে নাটোর জেলা ও লালপুর উপজেলা সহ গোপালপুর পৌরসভার আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও পথসভা সহ ভোটদের নিকট দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছে। নৌকা প্রতীককে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করে মেয়র পদটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে উপহার দিবেন বলে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ আশা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন কচির ধানের র্শীষ প্রতীককের পক্ষে ভোটের মাঠে প্রচার- প্রচারণা ও ভোটারদের নিকট ভোট চাওয়ার জন্য বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে নামাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি।
এছাড়া বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে। গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান গোপালপুর পৌসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মোলামকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারনে তার পক্ষের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনীয় মাঠে সক্রিয় ভাবে দেখা যাচ্ছেনা। এতে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন কচি ধানের র্শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুঞ্জুরুল ইসলাম বিমল রেল ইঞ্জিন নিয়ে ভোটের মাঠে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। সে গোপালপুর পৌরসভার তিন বারের মেয়র ছিলেন। তিনি তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সুধীজনদের নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনের মাঠে তাঁর অবস্থা অনেক ভালো।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। সে একজন চায়ের দোকানদার, তিনি তার কর্মীদের নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছেন। গোপালপুর পৌরসভায় মোট ভোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৫শ ৩৫ জন, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৬শ ৫৪জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৮শ৮১জন, ভোটের কেন্দ্র ৯টি। এর মধ্যে ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পদে শুধু মাসুদ রানা নামের একজন অংশ গ্রহণ করেছে। সেখানে কোন প্রতিদ্বন্দ¦ী প্রার্থী না থাকার করাণে মাসুদ রানা বিনা-প্রতিদ্বীতায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হতে যাচ্ছে।
এবিষয়ে ভোটাররা জানান, পৌরসভা এলাকায় চায়ের দোকান, সেলুন ও আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন সহ বাজার এলাকায় ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। এবারে পৌরসভা নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী থাকলেও ভোট যুদ্ধু হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত রোকসানা মোর্ত্তজা লিলির নৌকা প্রতীক অথবা বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন কচির সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুঞ্জুরুল ইসলাম বিমলের রেল ইঞ্জিন প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।