এফএনএস : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে চক্রান্ত ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। মানববন্ধনে নেতারা বলেন, ভাস্কর্য হলো ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্দেশ্য হলো, খ্যাতনামা ব্যক্তিদের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার মাধ্যমে দেশপ্রেম জাগ্রত করা। মুসলিম দেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কম-বেশি ভাস্কর্য রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।

পরিতাপের বিষয় হলো, এতদিন ভাস্কর্য নিয়ে কোনও বিতর্ক না হলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত এবং ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শুরুর পর এ নিয়ে বিতর্ক ও লাগামহীন বক্তব্য দেওয়া শুরু হলো। রাতের অন্ধকারে ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হলো। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ভাস্কর্য নয়, পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এখনও তাদের মিশন ও ভিশন থেকে সরে আসেনি।’ তারা বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, তাদের ক্ষোভ ভাস্কর্যের ওপর নয়; ক্ষোভ মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি। তা না হলে বিজয়ের মাসে ভাস্কর্য নিয়ে লাগামহীন বক্তব্য এবং ভাঙচুরের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতো না। আমরা মনে করি, জাতির পিতার ভাস্কর্যের ওপর আঘাত মানে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত।

তাই এ দেশের সঠিক ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে ভাস্কর্য নিয়ে চক্রান্ত এবং রাতের আঁধারে ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-দফতর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা রহমান, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম প্রমুখ।