বুধবার

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পারমাণবিক শক্তিচালিত ‘কৃত্রিম সূর্য’ চালু করল চীন

Paris
Update : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : চীন প্রথমবারের মতো ‘কৃত্রিম সূর্য’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া পারমাণবিক ফিউশন চুল্লি সফলভাবে চালু করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার বলেছে, দেশটির পারমাণবিক শক্তি গবেষণা সক্ষমতার ক্ষেত্রে এটি দুর্দান্ত অগ্রগতি। এইচএল-২এম টোকামাক চুল্লিটি চীনের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক উন্নত পারমাণবিক ফিউশন পরীক্ষামূলক গবেষণা যন্ত্র। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই ডিভাইসটি সম্ভাব্য একটি শক্তিশালী শক্তির উৎস খুলে দিতে পারে। খবর ফিজ ডট অর্গ ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। এটি গরম প্লাজমা গলানোর জন্য একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে এবং ১৫০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৌঁছতে পারে। পিপলস ডেইলির তথ্যানুসারে অনুসারে, এটি সূর্যের চেয়ে দশগুণ বেশি উষ্ণ।

দক্ষিণ-পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশে অবস্থিত চুল্লিটির কাজ গত বছর শেষ হয়। প্রচুর পরিমাণে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে বলে এটিকে ‘কৃত্রিম সূর্য’ বলা হয়। পিপলস ডেইলির এক খবরে বলা হয়েছে, ‘পারমাণবিক ফিউশন শক্তির বিকাশ কেবল চীনের কৌশলগত শক্তির চাহিদা সমাধানের একটি উপায় নয়, ভবিষ্যতে চীনের জ¦ালানি ও জাতীয় অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নের জন্যও এটির তাৎপর্য রয়েছে। চীনা বিজ্ঞানীরা ২০০৬ সাল থেকে পারমাণবিক ফিউশন চুল্লির ছোট সংস্করণ তৈরিতে কাজ করছেন। ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাকটরের কাজে বিজ্ঞানীদের সহযোগিতার জন্য যন্ত্রটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ফ্রান্সভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম এ পারমাণবিক ফিউশন গবেষণা প্রকল্প ২০২৫ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফিউশনকে বিবেচনা করা হয় শক্তির পবিত্র ইপ্সিত উপাদান এবং এটি সূর্যেরও শক্তি। এটি প্রচুর পরিমাণে শক্তি তৈরি করতে পারমাণবিক নিউক্লিয়াকে একীভূত করে, যা পারমাণবিক অস্ত্র ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ব্যবহৃত বিভাজন প্রক্রিয়ার বিপরীত। এ প্রক্রিয়ায় ফিউশন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য তৈরি করে না। দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কম। তবে ফিউশন অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল। দ্য ওয়ে টু নিউ এনার্জি-এর ক্ষেত্রে আনুমানিক ব্যয় করা হয়েছে ২২.৫ বিলিয়ন ডলার।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris