শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

ডোপ টেস্টে ধরা খেলেন রাজশাহীর চার পুলিশ

Paris
Update : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা পুলিশে ডোপ টেস্টের পর চারজন কনস্টেবল মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কীট না পাওয়ার কারণে রাজশাহী মোট্রোপলিটন পুলিশে (আরএমপি) এখনও সন্দেহভাজনদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়নি। এর আগে গত রোববার রাজশাহী জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের আরও আটজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তাদের ফলাফলও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় দেশের মধ্যে রাজশাহীর বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও বিভিন্ন ইউনিটগুলোতে কর্মরত পুলিশের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই রাজশাহী জেলা পুলিশে মাদকাসক্তির হার অধিক বিবেচনায় প্রথমে এখানেই ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ মতে, গত অক্টোবরে রাজশাহী জেলা পুলিশে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এরইমধ্যে সাত সন্দেহভাজনের ডোপ টেস্ট করার পর চারজনকে শনাক্ত করা হয়।

এই চারজনই বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে। রোববার রাজশাহী জেলা পুলিশের আরও ৮ জনের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল রয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব টেস্টের ফলাফলও জেলা পুলিশের হাতে আসবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও কিছু সন্দেহভাজন পুলিশের ডোপ টেস্ট হবে। রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ডোপ টেস্ট কমিটি করা হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রথমে ফলাফল ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে থাকে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশকে ফলাফল জানানো হচ্ছে। রাজশাহী পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনাটি রাজশাহীর প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। মাদকাসক্ত হিসেবে যারা সন্দেহভাজন তাদের নাম গোপনে তার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন থানার ওসি বা ইউনিট প্রধান অধীনস্ত কোন সন্দেহভাজনের বিষয়টি গোপন করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, ডোপ টেস্ট প্রশ্নে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, আরএমপিতে ডোপ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কীট আসেনি। কীট এসে পৌঁছালে আরএমপিতেও মাদকাসক্ত পুলিশ শনাক্তে ডোপ টেস্ট শুরু করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris