শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে

Paris
Update : রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩

এফএনএস
শীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ৫০০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির ৫টি ইউনিটই আগুনে পোড়াসহ দুর্ঘটনা কবলিত নানা রোগীতে ভর্তি। আর শীতকালে দগ্ধ রোগী অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ে পোড়া রোগীদের মাঝে শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি। ঢামেক বার্ণ ইউনিটে সাধারণত যাদের সার্জারি প্রয়োজন হয় না তাদের ভর্তি নেয়া হ না। সেক্ষেত্রে রোগীদের কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। তাতে নতুন রোগী আসতে থাকলেও জায়গা দিতে অনেক সময়ই কষ্ট হয়। আবার অনেক দূর থেকে আসা রোগীর ভর্তি না নিয়েও পারা যায় না। সেজন্য অনেক সময় রোগীদের ফ্লোরে রেখেও চিকিৎসা দিতে হয়। ঢামেক বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শীতকাল আসলেই গ্রাম-গঞ্জে, শহর-মহল্লায় আগুন লাগার ঘটনা বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষ আগুন জ¦ালিয়ে শীতের তীব্রতা নিবারণের চেষ্টায় থাকে। অনেকে কাবাব পার্টির আয়োজন করে, কেউ আবার গোয়ালঘরে পশুদের উষ্ণতা দিতেও জ¦ালায় আগুন। মূলত ওসব থেকেই আগুন ছড়ায়। এ সময় উত্তাপ নিতে যাওয়া মানুষের কাপড়ে আগুন লেগে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাও অহরহ ঘটে। সূত্র জানায়, চিকিৎসার ক্ষেত্রে পোড়া রোগীদের আগে অবজারভেশনে রাখতে হয়। সার্জারি করতে হলে তাদের শরীর এনেস্থেসিয়া নিতে পারবে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হয়। শরীরের অন্য জায়গা থেকে চামড়া নিয়ে লাগাতে হয়, সেক্ষেত্রে ওই জায়গায় চামড়া লাগানোর অবস্থা হয়েছে কিনা সেটাও দেখতে হয়। ওসব কারণে দেখা যায় সার্জারির জন্য রোগীকে তৈরি করতে হয়। সেজন্যই পোড়া রোগীর চিকিৎসায় সময় বেশি লাগে। কারণ সবার আগে জীবন রক্ষা করতে হয়। তারপর সার্জারি। দগ্ধ রোগীদের প্রথম ৬ ঘণ্টার মাঝেই চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু জেলা শহরগুলোতে বার্ন ইউনিট না থাকায় রোগীর হাসপাতালে আসতে আসতেই তাদের ৭-৮ ঘণ্টা পার হয়ে যায়। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কারণে ঢামেক হাসপাতালে এখন চাপ অনেক কমেছে। না হয় অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হতো। জেলা ও বিভাগীয় শহরে বার্ন ইউনিট চালু হলে দগ্ধ রোগীদের কষ্ট কমতো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris