বৃহস্পতিবার

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর লাল গামছা দেখে থামল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

বাগমারায় অনুমোদনহীন সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে চড়াসুদে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

Paris
Update : রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২

শামিম, মচমইল : রাজশাহীর বাগমারায় ব্যাঙ্গের ছাতার মতো তৈরি হয়েছে চড়াসুদের গ্রাম্য সমবায় সমিতি। দিনের বেলায় দেশের নিবন্ধিত এনজিও বা ব্যাংক, বীমা চলছেও অনুমোদনবিহীন গ্রাম্য সমবায় সমিতিগুলো পরিচালনা করা হয় রাতে। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে রাতেই লেনদেন হয়ে থাকে ওই সকল সমিতিতে। উপজেলায় সহস্রাধিক অনুমোদনহীন চড়া সুদের গ্রাম্য সমবায় সমিতি রয়েছে। ওই সকল সমবায় সমিতির মধ্যে কয়েকটির বিরুদ্ধে ঋণ নেয়া ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার ও থানায় আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামে অনুমোদনহীন কয়েকটি সমবায় সমিতি দীর্ঘ দিন থেকে চড়া সুদের কারবার করে আসছে। এরমধ্যে দক্ষিণ দৌলতপুর আশার আলো সমবায় সমিতি এবং আক্কেলপুর সম্মিলিত সমবায় সমিতি। ওই সকল সমিতি থেকে অর্থ নিয়ে অনেকেই সর্বশান্তÍ হয়ে পড়েছে। অনেকেই সুদের টাকা নিয়ে দিনের পর দিন সুদের অর্থ পরিশোধ করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বাড়ি ছেড়ে অন্যস্থানে গিয়ে পালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। সমবায় সমিতি হিসেবে পরিচালিত করলেও নেই সমবায়ের অনুমোদন।

তবুও সুদকারবারীরা বই তৈরি করে সুদের কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। আশার আলো সমবায় সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন দুলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বিপদে পড়েই আমি ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে। শতকরা ২০ টাকা হারে ঋণের সুদ দিতে হয়। কোন সপ্তাহে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে সুদের হার দ্বিগুণ হয়ে যায়। মহসিন আলী নামের আরেক ঋণ গ্রহীতা বলেন, কোন সমস্যায় পড়ে ওই সকল সমিতি থেকে ঋণ নিলে বিপদের শেষ থাকে না। অনেক সময় ফাঁকা স্ট্যাম্প এবং ব্যাংকের চেক জমা দিতে হয়। কোন ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার বিপদের অন্ত থাকে না। আসল টাকার সুদ গুণতে গুণতে জমাজমা বিক্রি করেও রক্ষা হয় না।

কোন ভাবে সুদের অর্থ প্রদান করলেও আসল টাকা পরিশোধ হয় না। আশার আলো সমবায় সমিতির ঋণ কার্যক্রম দেখাশোনা করেন আখিদুল ইসলাম নামের এক সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ৩ বছর মেয়াদী একটি সম্মিলিত ভাবে সমিতি তৈরি করে প্রতি সপ্তাহে সঞ্চয় জমা রাখি। সেই টাকা সদস্য সহ অন্য লোকজনের মাঝে ১ হাজারে ২০০ টাকা হারে ঋণ দিয়ে থাকি। প্রায় ৪০০ জন সদস্য নিয়ে আশার আলো সমবায় সমিতি পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণত অল্প টাকা ঋণ দিয়ে থাকি। কেউ যদি বেশি টাকা নিতে চাই। তাহলে তাঁর নিকট থেকে স্ট্যাম্প এবং ফাঁকা ব্যাংক চেক নিয়ে থাকি। ৩ বছর পর পর সমিতিটি ভাঙ্গা হয়ে থাকি।

তাই সমবায়ের নিবন্ধন নেয়ার দরকার হয় না।। একই নিয়মে চলঠে দক্ষিণ দৌলতপুর, আক্কেলপুর সহ ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ সমিতি চড়াসুদে ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। এর ফলে অনেকেই ওই সকল চড়াসুদের কারবারদের নিকট থেকে ঋণ নিয়ে প্রতারিত হয়ে আসছেন। সুদের টাকা পরিশোধ করতে সর্বশেষ সম্বল টুকুও বিক্রয় করতে হয়। উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে অফিস সহকারী মাইনুল ইসলাম বলেন, ওই সকল সমিতির কোন নিবন্ধন নেই।

সমবায় সমিতির নাম ব্যবহার করে তারা এলাকার সাধারণ লোকজনের মাঝে ঋণ দিয়ে চড়া সুদের কারবার করে আসছে। তাদের নামে কোন প্রকার নিবন্ধন নেই। সেই সাথে গ্রামীণ সমবায় সমিতির মাধ্যমে চড়াসুদের ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত করা যাবে না। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, কয়েকটি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে লিািখত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে নিবন্ধন বিহীন ওই সকল সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris