রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

বর্ষার আগমনী বার্তায় নওগাঁয় জমে উঠেছে নৌকার হাট

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১

সুমন আলী, নওগাঁ : গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে নওগাঁর ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি। এর পাশাপাশি খাল বিলের পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নৌকা তৈরি ও বিক্রির ধুম পড়েছে। তাই ব্যাস্ত সময় পাড় করছে নৌকা তৈরির কারিগররা। এছাড়াও নতুন নৌকা তৈরির পাশাপাশি পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজও চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাম্প্রতি কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে উপজেলার বিভিন্ন মাঠগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলেদের পাশাপাশি কৃষকরাও মাছ ধরায় মেতে ওঠেছেন। এসব কারণে কদর বেড়ে যাওয়ায় জমে উঠেছে নৌকা বিক্রির হাটগুলো। জেলার আত্রাই উপজেলার সমসপাড়া হাটে শুক্রবার-সোমবার বিক্রি হচ্ছে শত শত নৌকা।

সমসপাড়া হাটে নৌকা বিক্রি করতে আসা পারমহোনঘোষ গ্রামের আব্দুল লতিফ, আব্দুল মজিদসহ অনেকে বলেন, ‘আমরা কৃষক মানুষ। বর্ষায় আমাদের মাঠ ডুবে যাওয়ায় আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামে নৌকার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা নৌকা বিক্রির পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। শুধু আত্রাই নয় রাণীনগর, নাটোরের সিংড়া এবং চলনবিল এলাকার লোকজনও আমাদের নৌকা ক্রয় করতে আসেন।’ তারা জানান, বর্তমানে কাঠ-বাঁশের দাম বেশি এবং মিস্ত্রী মজুরি বেশি হওয়ায় খুব বেশি লাভ না হলেও যা হয়, তা দিয়ে সংসারের হাট-বাজার করা যায়।

আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের হালতি গ্রামের লোকমান মিস্ত্রি বলেন, বর্ষার পানি নদ-নদী ও খাল-বিলে প্রবেশ করার পর আমাদের এলাকায় নতুন নৌকা তৈরি ও পুরাতন নৌকা মেরামতের ধুম পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নৌকা তৈরি ও মেরামতের কাজ চলছে।

উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নন্দনালী গ্রামের নৌকা তৈরির কারিগর নগেন, নরেশ ও নিতাই চন্দ্র বলেন, ৯-১০ হাত নৌকা তৈরিতে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ১২-১৩ হাত নৌকা তৈরি করতে খরচ হয় সাড়ে ৫-৬ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় ৭-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া কাঠের প্রকার ভেদে নৌকার দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। তারা আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে হাটে-বাজারে নৌকার ক্রেতারা কম আসে। তাই নৌকা কেনা-বেচা আর আগের মতো হয়না। তাই আমাদের বাপ-দাদার আমলের ব্যবসা কোনো রকমে ধরে রেখেছি। বর্ষার পানি বাড়তে থাকলে নৌকার বেচা-কেনা বেশি হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris