স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরের ভদ্রা বস্তিতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক অটোরিকশাচালকের লাশ মিলেছে। জীবিত আছেন মনে করে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত অটোরিকশাচালকের নাম মাসুম ওরফে কালু মিয়া (৩২)। তিনি ভদ্রা জামালপুর এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। থাকতেন ভদ্রা বস্তিতেই। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে মহানগরের চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।
বর্তমানে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এরপর কালু মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর বলেন, মৃতের ভাই মাসুদ রানার অভিযোগ, কালু মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে ব্যাপারে সন্দেহভাজন কারো নাম বলতে পারছেন না তারা।
ওসি আরও বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় কালু মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তা মৃত্যু হওয়ার মতো নয়। দেখে মনে হচ্ছে তাকে ছেঁচড়ানো হয়েছে। তবে মৃতের ভাই মাসুদ রানা পুলিশকে জানিয়েছেন ভাইয়ের মরদেহের বাঁ হাতের কব্জির ওপরে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাই ‘ক্লু’ না মিললেও আপাতত এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।