শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

কদর বেড়েছে সিমেন্টের চাড়ির

Paris
Update : রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

শামীম রেজা, মচমইল : রাজশাহীর বাগমারায় রয়েছে হাজারো দীঘি আর পুকুর। সেই সকল দীঘি আর পুকুরে চাষ করা হচ্ছে মাছ। মাছ চাষ করায় প্রতিনিয়ত দীঘি ও পুকুরে দিতে হচ্ছে খাদ্য। মূলত পানিতে নেমে মাছের খাদ্য দেয়া সম্ভব হয় না। সে জন্য দরকার হয় নৌকার। দিন দিন বাড়ছে কাঠের দাম। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরী। অনেক টাকা খরচ করে কাঠের নৌকা তৈরি করলেও বেশি দিন টিকেনা। অনেক দিন পানিতে থাকার কারনে পচে নষ্ট হয়ে যায়।

বর্তমানে নৌকার পরিবর্তে শুরু হয়েছে সিমেন্টের চাড়ি বা নৌকা ব্যবহারের প্রচলন। দাম কম আর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় দিন দিন কদর বাড়ছে সিমেন্টের এ সকল চাড়ি আর নৌকার। মাছ চাষিরা এখন নৌকার পরিবর্তে দীঘি ও পুকুরে ব্যবহার করছেন সিমেন্টের চাড়ি। প্রতিটি চারির মূল্য আকার ভেদে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। ছোট আকারের একটি চাড়িতে ৫০ কেজির ৩/৪ টি বস্তা সহ ২ জন মানুষ এক সঙ্গে চড়ে পুকুরে মাছের খাদ্য ছিটিয়ে দিতে পারে।

একেকটি চাড়ি পুকুরে ৬-৭ বছর ব্যবহার করতে পারবেন। গত ১ বছর থেকে সিমেন্টের চাড়ি এবং ডুঙ্গা তৈরি কারাখানা করছেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম। তার নিজ গ্রামে এই চারি তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে। সেখান থেকে গত ১ বছরে শতাধিক চাড়ি বিক্রি করেছেন তিনি। চাড়ি তৈরিতে প্রয়োজন হয় সিমিন্টে, বালি, ভালো মানের ইটের গুড়িখোয়া এবং জিআই তার। তার এই কারখানায় তিনজন কারিগর এগুলো তৈরির কাজ করেন।

একান্ত ব্যক্তিগত কাজে এ চাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাছ চাষ পুকুরে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ে ছোট একটি নৌকার দাম দিয়ে দুই থেকে তিনটি চাড়ি কেনা যাবে। বালানগর গ্রামের শাহাদত হোসেন, ওমর আলী, হেলাল উদ্দীন, গোপালপুর গ্রামের আবু বাক্কার সহ অনেকে মাছের খাদ্য দিতে এই চাড়ি স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করছেন। আশরাফুল ইসলাম জানান, অর্ডার পেলে চাহিদা মত সরবরাহ করতে পারবেন সিমেন্টের চাড়ি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris