মঙ্গলবার

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদাসীন হলে পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১

এফএনএস : চলতি জুলাই মাসকে অত্যন্ত কঠিন মাস বলে আখ্যায়িত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন হলে দেশে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে সরকারি এই সংস্থাটি। গতকাল বুধবার দুপুরে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এ আশঙ্কার কথা জানান। জুলাই মাস অত্যন্ত কঠিন মাস মন্তব্য করে তিনি বলেন, জুনে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল, আর জুলাইয়ের ১৪ দিনে আমরা এত রোগী পেয়ে গেছি।

এই মাসের আরও ১৬ দিন বাকি আছে। যেহেতু সংক্রমণের মাত্রা এখন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা যদি না নেওয়া হয়, দুই সপ্তাহ পর্যন্ত টানা এভাবে চলতে পারে। মৃত্যু তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এভাবে চলতে পারে। হাসপাতালে যদি আর নতুন রোগীকে জায়গা দেওয়া না যায়, তাহলে আমরা সবাই বিপদে পড়ে যাবো, বলেন ডা. রোবেদ আমিন। গত বছর থেকে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট ও ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন নিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রাম করে যাচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, বর্তমান সময়ের করুণতম পরিস্থিতির উপক্রমে আমরা চলে এসেছি।

যেখানে সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যু ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর একটি মূল জায়গা হলো টেস্ট। আমরা টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। প্রসঙ্গত, গত দুইদিন ধরে দেশে করোনা পরীক্ষার নমুনা বাড়ছে। গত ১২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৭টি। আর তাতে করে মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হন ১৩ হাজার ৭৬৮ জন।

গত ১১ জুলাই অধিদপ্তর জানায়, করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৬০টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫টি। দেশে গত মার্চে যখন করোনা মহামারি শুরু হয় তখন সরকারের একটি মাত্র ল্যাব রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) করোনার নমুনা পরীক্ষা হত। শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, টেস্ট, টেস্ট অ্যান্ড টেস্ট। সেই সঙ্গে ‘যত বেশি পরীক্ষা তত বেশি রোগী শনাক্ত’হবার কথা দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে আসছিলেন। পরে ধীরে ধীরে সরকারি পরীক্ষাগার বাড়ানো হয়।

এ সময় বেসরকারি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার অনুমতি দেয় সরকার। সেই সঙ্গে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার দাবিও তোলা হয় জনস্বাস্থ্যবিদদের পক্ষ থেকে। অবশেষে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর দেশে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার। সেদিন যশোর জেলা সদর হাসপাতালে শুরু হয়ে ১০টি জেলায় প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। দেশে বর্তমানে ৬২৭টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি পরীক্ষাগারে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে, ৫০টি জিন এক্সপার্ট পরীক্ষার মাধ্যমে আর ৪৪৭ টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris