শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার করবে জেলা পরিষদ ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা সূচনাতেই

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের সেরা তো বটেই, নাঈম শেখ সেবার ছিলেন বিশ্বসেরাদের মিছিলেও। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করলেও এই ওপেনারের স্ট্রাইক রেট (১০০.৩৪) অবশ্য প্রশ্নযোগ্যই ছিল। পরের প্রায় আড়াই বছরে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে থাকতেও সেটি তেমন বাড়েনি (১০৩.৪২)। এই সময়ের কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে যা আরো অচল। তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং জুনের বিশ্বকাপ সামনে রেখে চট্টগ্রামে তিন দিনের অনুশীলন শিবিরের জন্য ১৭ জনের বাংলাদেশ দলে তাঁর নাম না থাকা নিয়ে উচ্চবাচ্য হয়নি। তাই বলে অন্য ওপেনারদের নিয়ে বুক ফুলিয়ে বলার মতো কিছুও ঘটে যায়নি এর মধ্যে। টেস্ট আর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির যা অবস্থা, টি-টোয়েন্টিতেও এর ব্যতিক্রম নয়। কোনো সংস্করণেই স্থিতিশীল নয় ওপেনিং জুটি। বরং এমন ভঙ্গুর যে এই জায়গায় বদল দেখা যায়। সামনে যখন আরেকটি বিশ্বকাপ, তখন আগের বিশ্ব আসরের পর থেকেই এই পজিশনের জন্য জুতসই দুজনকে খুঁজে নেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। কিন্তু তাঁরা সেটি খুঁজে পেয়েছেন কি? একদমই না। খুঁজে পেলে নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত সাতজন ওপেনারকে দিয়ে চেষ্টা করতে হয় না। এই সময়ের মধ্যে ১৬ ম্যাচে দেখা গেছে ছয় জোড়া ওপেনিং জুটি। সবচেয়ে বেশি ৮ ইনিংসে লিটন কুমার দাসের সঙ্গী রনি তালুকদারও (৯ ইনিংসে ১৪১.৯৫ স্ট্রাইক রেটে ২০৩ রান) এরইমধ্যে নাঈমের মতো ছিটকে পড়েছেন আসন্ন বিশ্বকাপের বিবেচনা থেকে। অনুশীলন শিবিরের দলে এখনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেলা তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন অবশ্য খেলেছেন। তবে তাঁর মতো মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসানেরও ওপেন করার অভিজ্ঞতা হয়েছে এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে। সেখানে তিন ম্যাচের একটিতে ওপেন করা আফিফ হোসেনকে দেখা গেছে লিটনের সঙ্গী হতে। গেমসের বাইরে ১৩ ম্যাচের ১২টিতে ওপেন করা লিটন পেয়েছেন ভিন্ন তিন সঙ্গী-রনি, আফিফ ও সৌম্য সরকার। এক ম্যাচে ওপেন করেছেন রনি-সৌম্যও। এক লিটন (স্ট্রাইক রেট ১৩৪.০৬) ছাড়া কেউই পারেননি লম্বা সময়ের জন্য তাঁর পার্টনার হিসেবে টিকে থাকার মতো কিছু করতে। যদিও ধারাভাষ্যকক্ষে বসে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দেখা সাবেক ওপেনার আতাহার আলী খান স্থিতিশীল ওপেনিং জুটির জন্য নির্বাচকদের কাছে আরেকটু ধৈর্যের দাবি রাখলেন, ‘ধৈর্যের ফল কেমন হয়, তা এখন নাজমুল হোসেন শান্তকে দেখলেই বোঝা যায়। একই রকম বিশ্বাস ওপেনারদের ওপর রাখলেও ফল মিলতে পারে।’ তবে সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার এর সঙ্গে একমত হতে পারলেন না কিছুতেই, ‘পুরোপুরি পারফরম্যান্সের জন্যই ওপেনিং জুটি থিতু নয়। কোনো বাধা নেই। তা ছাড়া আগের চেয়ে (নির্বাচকদের) সহযোগিতামূলক মনোভাবও বেশি। ওপেনিং যদি পারফরম করতই, তাহলে তো এ রকম পালাবদল বা এত কিছু হতো না। এত ওপেনারকেও দেখা যেত না।’ কাউকে তেমন সুযোগ না দেওয়ার দাবিও উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়কের ভাষ্য, ‘ওপেনিংয়ে আসলে কেউই তেমন কিছু করতে পারেনি। পর্যাপ্ত সুযোগ কিন্তু পায় সবাই। হ্যাঁ, এক পারভেজ হোসেন ইমন সুযোগ তেমন পায়নি।’ সমাধানের জন্য এমন চাতক চোখের অপেক্ষাই শুধু দেখেন হাবিবুল, ‘সমাধান একটিই, খুঁজে যেতে হবে, কাউকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত। কেউ ভালো না খেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া কিছু করার নেই। এটিই তিক্ত সত্য।’-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris