বৃহস্পতিবার

৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাসিকের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনে ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর জমির নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে : প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে চায় না ডেমোক্রেটরা এমপি আনারের লাশ শনাক্ত না হলে সব তদন্ত নিষ্ফল হতে পারে সরকার স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী নাটোরে বিএনপির সমাবেশে দুর্বৃত্তদের হামলায় বুলবুলসহ ৮ নেতাকর্মী আহত গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজ অর্থায়নে এন্টিভেনম উপহার ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারালেন শতাধিক ব্যক্তি বাঘা আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায়িত্বহীনতা ছিলো কার? নানা প্রশ্ন

আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি পুঠিয়ার সাধারণ পাঠাগারে

Paris
Update : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

শাহ্ সোহানুর রহমান, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একমাত্র সাধারণ পাঠাগারটি দিন দিন পাঠক শূন্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার সব স্থানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও উপজেলা সাধারণ পাঠাগার এখন পর্যন্ত কোন কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। বই পড়ার টেবিলগুলাও নষ্ট, কোথাও বা উপরের সিলিং ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম, নতুন করে কোনো বইও এ পাঠাগারে যোগ হয়নি। এ কারণে পাঠক সংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। সাধারণ পাঠকদের অভিযোগ উপজেলায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও এই পাঠাগারটি অযত্নে- অবহেলায় ক্রমেই জরাজীর্ণ হয়ে পরেছে। তারা দাবি করছেন আধুনিক মানের প্রযুক্তিযুক্ত পাঠাগার গড়ে তুলতে পারলে এখানে আবারও পুরোনোদের পাশাপাশি অনেক তরুণ প্রজন্মের পাঠকও আসবেন।
উপজেলা পরিষদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন বই পড়ার আগ্রহ থাকায় পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সরকারি বাসভবনের সাথে ছোট ছোট চার কক্ষে নব্বই দর্শকে সাধারণ পাঠাগারটি চালু করা হয়। পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকার উন্নত মানের বই পাঠকদের পড়ার জন্য রাখা হয়। পাঠকরা যেন পাঠাগারে এসে নিয়মিত পড়াশুনা করতে পারেন । সেই জন্য প্রতিদিন বিকেলে ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থেকে। পাঠাগার দেখা শুনার জন্য সব সময় একজন ইনচার্জ রাখা হয়েছে। বর্তমানে নিয়মিত পাঠক মনিরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পাঠাগারে মানুষের বই পড়ার আগ্রহ অনেক কমে যাচ্ছে। হাতের নাগালে তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বর্তমান প্রজন্মের যুবকদের পাঠাগারে যাতায়াতের কোনো আগ্রহ নেই। যার কারণে এক সময়কার পাঠকপূর্ণ পাঠাগারটি দিনে দিনে পাঠক শূন্য হয়ে যাচ্ছে।
পাঠাগারটিতে এক সময় দৈনিক পত্র-পত্রিকার পাঠকই ছিল প্রায় অর্ধশতাধিক। এছাড়া বিভিন্ন বই পড়ার জন্যও অনেক পাঠক এখানে ভিড় জমাতো। সব সময় পাঠকে পরিপূর্ণ থাকতো সাধারণ পাঠাগার। দিন দিন পাঠকের সাথে পাল্লা দিয়ে পাঠাগার থেকে বিভিন্ন মূল্যবান বইগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বইয়ের পাশাপাশি আধুনিক মানের প্রযুক্তি নির্ভর পাঠাগারটি গড়ে তোলা হলে এখানে আবারো পাঠক সংখ্যা বাড়বে।
পাঠাগারের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকে অনেক পাঠক এখানে আসলেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে। প্রতিদিন যথা সময়ে পাঠাগার খোলা থাকলেও এখন হাতে গোনা মাত্র দু’তিন জন পাঠক নিয়মিত আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, উপজেলা সাধারণ পাঠাগারে আমি অনেকবার গিয়েছিলাম। বইগুলা পুরানো এবং আসবাবপত্রগুলো নষ্ট হয়েছে এটা সত্য। তবে সাধারণ পাঠাগার ভিতরে হওয়ার কারণে বইপ্রেম মানুষের কাছে পরিচিতিটা অনেক কম। তবে আমি উপজেলা সাধারণ পাঠাগারটিকে আরও সামনে দিকে বড় ঘর করার ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেব। তারপরে নতুন বই ও আসবাবপত্র গুলো নতুন করা হবে। তবে এটাকে আধুনিক মানের পাঠাগার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় রয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris