বুধবার

২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বগুড়া কারাগারের ছাদ ফুটো করে চার ফাঁসির আসামির পলায়ন, পরে আটক শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের বর্ণাঢ্য জীবন, আজ জন্মবার্ষিকী নাচোলে ইলামিত্র সংগ্রহশালা পরিদর্শনে ভারতীয় হাই কমিশনার আগামী এক বছরের মধ্যে রাজশাহী জেলা হবে শিশুশ্রম মুক্ত : প্রতিমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না : প্রধানমন্ত্রী দিল্লি সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী বাইডেন-ট্রাম্প মুখোমুখি বিতর্কে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস, গুরুত্ব পাবে মানসিক যোগ্যতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি, মুক্তি পেলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নাটোরে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি নাটোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু

রাজশাহীতে দখল হওয়া রেলের জমি সংক্রান্ত শুনানির দিন অনুপস্থিত বিবাদী ও কর্তারা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রায় তিন কোটি টাকা মুল্যের জমি হাতছাড়া হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকমাস আগে স্থানীয়দের অভিযোগ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিক সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে সমন জারি করেছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের চীফ এষ্টেট অফিসার রেজাউল করিম। স্থানীয়রা বলছেন, দখলকারি ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হবার কারণে বিভিন্নভাবে কালক্ষেপন করাচ্ছে রেলের কর্তাদের। এছাড়াও লবিং করার চেষ্টা করে নিজ দখলে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু, রেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তারা সেই দাবি মানতে নারাজ। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে অভিযোগকারী এবং-দখলদার বিবাদী গংদের নিজ নিজ রেকর্ডপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এদিন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এসময় স্থানীয় অভিযোগকারীরা অত্র দফতরে হাজির হলেও হাজির হননি বিবাদী গং। এছাড়াও অফিসচলাকালীন সময় উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চীফ এষ্টেট অফিসার রেজাউল করিম। জানতে চাইলে তিনি জানান, দাপ্তরিক কাজে খুলনায় অবস্থান করছি। পরবর্তীতে তারিখ নির্ধারণ করে অভিযোগকারী এবং বিবাদীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
অভিযোগ উঠেছে, নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের আওতাধীন হাজরাপুকুর এলাকায় রেলওয়ের অন্তত ১২ কাঠা জমি স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের অভিযোগসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েকমাস পূর্বে সরেজমিনে গিয়ে দখল হওয়া স্থানটি মুক্ত করার জন্য লাল পতাকা স্থাপন করেন। কিন্তু অবশেষে নানা জল্পনা কল্পনা শেষে সেই দখল হওয়া রেলের জমির বেশিরভাগ জায়গা দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে রেখেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী অধিদপ্তর। আর রেলওয়ের ছেড়ে দেওয়া জায়গা সীমানা প্রাচীর দিয়ে আবারো ঘিরে নিচ্ছেন দখলদাররা। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি উদ্ধার ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও প্রধান প্রকৌশলী বরাবর এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। দখল হওয়া ১২ কাঠা এই জমির বর্তমান বাজার মুল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হাজরাপুকুর এলাকার এই জমি দখলমুক্ত করা বা বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বারবার সুরাহা করার আশ্বাস দেওয়া হলেও রহস্যজনক কোন কারণে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। রেলওয়ের সম্পত্তি উদ্ধারে নিরব ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য থেকে জানাগেছে, বছর দশেক আগে হাজারাপুকুর এলাকায় রেলের একটি একটি পুকুর (ডোবা) দখলপূর্বক ভরাট করেন আ’লীগ নেতা কামরুল ইসলাম ও রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলাম। এরপর সেখানে নির্মাণ করেন একটি কারখানা। আর কামরুল ইসলামের কারখানার আরেক পাশে রেলওয়ের জমিতে দুই তলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন খাদেমুল ইসলাম।
জমি দখল ও শুনানির বিষয়ে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের জমি উদ্ধারে আমারা কোন বাধা দিচ্ছিনা। তাদের প্রয়োজন হলে নিজেরাই উদ্ধার করে নিবে। তবে রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পশ্চিামাঞ্চল রেলওয়ের কানুনগো মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দখল হওয়া রেলের জমিটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তারা রেলওয়ের জমি দখল করে থাকলে কর্তৃপক্ষ জমি দখলমুক্ত করবে। তবে রেলওয়ের কিছু জমি কামরুল ও খাদেমুলের দখলে থাকার কথা স্বীকার করলেও ঠিক কতটুকু পরিমাণ জমি তারা দখলে রেখেছেন সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি কানুনগো কামরুল।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris