সোমবার

১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ফসলী জমি রক্ষায় ভূমি রক্ষা কমিটি

Paris
Update : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে মেহেরচন্ডী, মুশরইল ও বনগ্রাম মৌজার জমির মালিকগণের সম্বন্বয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ভূমি রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে অন্যান্য জমির মালিকগণ সদস্য হিসেবে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জমি অধিগ্রহন রুখতে কার্যকরী পদক্ষেপ ও আন্দোলন করার বেগমান করা জন্য গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর নাদের হাজির মোড়ে চারটি গ্রামের কৃষক ও জমির মালিকগণ সভা করেন। এই সভা থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আসলাম উদ্দীনকে আহ্বায়ক ও ফজলুল হককে সদস্য সচিব করা হয়।
সভার সভাপতি ও নয়া কমিটির আহ্বায়ক আসলাম উদ্দীন বলেন, রাজশাহীতে দিন দিন কমে আসছে ফসলের জমি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা। সরকারী ও বেসরকারীভাবে চলছে জমি অধিগ্রহন। এতে করে যেমন কমছে কৃষি জমি, তেমনি বেকার হচ্ছে কৃষি শ্রমিক। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ আশে পাশের বিভিন্ন মৌজায় আবাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা করার নামে চলছে জমি অধিগ্রহন। আর এই সকল জমির বেশীরভাগ হচ্ছে তিন ফসলী জমি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক এবং কৃষিকে বাঁচাতে তিন ফসলী জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা করা যাবেনা মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, মানছে না খোদ সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর মেহেরচন্ডী মৌজা, যার জে.এল.নং-১৩৭ এবং মুশরইল মৌজা, যার জে.এল.নং- ১৩২ মৌজা সমুহে প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমি অধিগ্রহন করার ষড়যন্ত্র শুরু করছে আরডিএ এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। দুইটি প্রতিষ্ঠানই আবাসিক করার জন্য এই অধিগ্রহন করার চেষ্ঠা করছে। অথচ পদ্মা আবাসিক, পারিজাত আবাসিক, চন্দ্রিমা আবাসিক ও বারনই আবাসিকে এখনও ৫০-৬০ ভাগ প্লট পড়ে আছে। শুধু তাই নয় বারনই আবাসিকে একটি বাড়িও হয়নি। তাহলে আবার কেন এই ষড়যন্ত্র। জীবন দিয়ে হলেও তাদের জমি অধিগ্রহন করতে দেয়া হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে উপস্থিত জমির মালিকগণও একই কথা বলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris