সোমবার

১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রকৃত ঘটনা

Paris
Update : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

গত ২১ মে ২০২৪ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘বাগমারায় অসহায় এক পরিবার, থানা পুলিশ নিশ্চুপ’ শিরোনাম ও দুর্যয়ের মাথায় ১২ আর সবুজের চোখে ৪টা সেলাই, পুড়িয়ে দিয়েছে পানবরজ, খুলতে দিচ্ছেনা দোকান’ উপ শিরোনামে এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদগুলোতে ঘটনা সম্পর্কে যে তথ্য-উপাত্ত উত্থাপন করা হয় তা আদৌ সত্য নয় এবং একেবারে উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাই প্রকৃত ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হলো ঃ
প্রকৃত ঘটনা হলো, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষগণ গত ০৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যার পর আমাদের বাড়ীর পাশে কুমানীতলা বাজারে আমার ভাই মোঃ মামুন অর রশীদ, মোঃ মোরশেদ হোসেন ও মোঃ খোরশেদ আলম মোটর সাইকেল গ্যারেজে বসে রমযান মাসের মিলাদ এর জন্য আলোচনা করা অবস্থায় বাগমারা থানার মামলা নং-১২/২০২৪, তাং-০৬/০৪/২০২৪ এর আসামী যথাক্রমে (১) মোঃ নাইমুর রহমান (২) মোঃ শাহরিয়ার আলম সবুজ উভয় পিতা মোঃ আঃ সাত্তার, (৩) মোঃ আঃ সাত্তার, পিতা মৃত: আঃ করিম (৪) মোঃ মাহাবুর রাহমান (৫)মোঃ মাসুদ রানা উভয় পিতা মোঃ নজের আলী (৬) মোঃ উজ্জল হোসেন পিতা মোঃ আবু বাক্কার সর্বসাং গংগানারায়নপুর তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল গ্যারেজ ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়িভাবে অতর্কিত হামলা করে আমার ভাই যথাক্রমে মোঃ মামুন অর রশীদ (সহকারী প্রধান শিক্ষক), মোঃ মোরশেদ হোসেন ও মোঃ খোরশেদ আলম (প্রভাষক) উনাদের মাথা, চোখ, কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বিভিন্ন রকম শাসন গর্জন করতে করতে স্থান ত্যাগ করে। এমতাবস্থায় দ্রুত স্থানীয় লোকজন এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমার ভাইদেরকে তড়িঘড়ি করে মেডিকেলে ভর্তি করায়। পরবর্তীতে গত ০৬/০৪/২০২৪ ইং তারিখ আমি বাদী হয়ে উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগটি আমলে নেন এবং বাগমারা থানার মামলা নং-১২ তালিকাভূক্ত করে সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমাটি রেকর্ড করেন, মামলাটি বর্তমান তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাদের এহেন অবস্থার প্রেক্ষাপটে আমার ভাইদের শরীরের বিভিন্ন স্থানের ক্ষত অংশ পত্রিকায় প্রদত্ত হলো। প্রকাশ থাকে যে, প্রকাশিত সংবাদে আমার প্রতিপক্ষের দোকানপাট খুলতে দিচ্ছেনা মর্মে যা প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় তারা ঘটনার পর হতে পুলিশ প্রশাসনের ভয়ে আত্নগোপন করে আছে। আর পানবরজ পোড়ার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে গত ২১/০৪/২০২৪ ইং তারিখের দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমাকে এবং আমার ভাইদেরকে নিয়ে গত ০৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখের ঘটনার বিষয় নিয়ে যা প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, ভিত্তিহিন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বটে। তাই আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।-মোঃ সুমন আলী প্রাং, প্রভাষক, মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, বাগমার, রাজশাহী।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris