সোমবার

১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ঘরোয়াভাবেই বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করল ৩ পরিবার

Paris
Update : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অন্যান্য জেলার মতো রাজশাহী শহরেও যথাযথ ও ধর্মীয় ভাব গম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে বুধবার (২২ মে) পালিত হলো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। ঢাকা, চট্রগ্রাম, দিনাজপুর, নওগাঁ ও পার্বত্য অঞ্চলের মতো রাজশাহী শহরে কোন টেম্পল না থাকায় ঘরোয়া ভাবেই পালিত হলো বুদ্ধ পূর্ণিমার সবচেয়ে বড় উৎসব। রাজশাহী নগরীতে মাত্র তিনটি পরিবার এই উৎসব ঘরোয়াভাবেই পালন করে থাকে বলে জানান রাজাহাটাস্থ সৌগত বড়ুয়া প্রিয় নয়ন। নয়নের স্ত্রী শ্রাবণী বড়ুয়া জানান তাদের ছেলে বর্ণিল বড়ুয়া, মেয়ে অর্নিব, স্বামী-স্ত্রী, শাশুড়ীসহ আরো দুটো পরিবার ঘরোয়াভাবেই পালন করেন এই উৎসব। শ্রাবণী বড়ুয়া আরো জানান, এই দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়িঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার পর গোসল করে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সমবেত প্রার্থনা, বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্জলন, পঞ্চশীল প্রার্থনা, অষ্ট পরিস্কার দান, বৌদ্ধ মূর্তি দান, ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘ দান, কল্পতরু দান, হাজার প্রদীপ দান সহ নানাবিধ দান করা হয়।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য পূর্ণ। বৌদ্ধ ধর্মমতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এ দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’। নগরীর এই দিনটি বৌদ্ধ পরিবারের দাবি, নগরীর কোথাও যদি ছোট্ট একটি টেম্পল নির্মাণ করার ব্যবস্থা সরকার থেকে করে দেয়া হতো তাহলে আমরা সহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বাৎসরিক উৎসব ছাড়াও নিয়মিতভাবে সেখানে গিয়ে সমবেত প্রার্থনা, বুদ্ধ পূজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকান্ড পালনের সুযোগ পেতো। এছাড়াও মাঝেমধ্যেই বাইরে থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুক আসেন এই শহরে। তাদের থাকা ও আরাধনা করারও তেমন কোন সুযোগ নেই এই শহরে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris