বৃহস্পতিবার

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল রাসিক মেয়রের সাথে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ সিরাজগঞ্জে হেরোইন বহনের দায়ে গোদাগাড়ীর ২ যুবকের যাবজ্জীবন নিজের নামে কোনো প্রকল্প চান না প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী নগরীতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে : মেয়র গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের আয় ও ব্যায়ের হিসাব ১৬ দিনেও চুড়ান্ত করতে পারেনি

Paris
Update : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার, লালপুর :  উত্তরবঙ্গের ভারী শিল্প নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল চিনি উৎপাদনে গত বছরের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় দেশের সরকারি চিনিকলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি(এপিএ) অর্জনও করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। তবে আখ মাড়াই মৌসুমের সমাপ্তির ১৬ দিনেও আয় ও ব্যায়ের হিসাব চুড়ান্ত করতে পারেনি চিনিকল কতৃপক্ষ। জান যায়, ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে ১১৪ দিনে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ মেক্টিক টন আখ মাড়াই করে শেষ করে চিনিকলটি। এতে ৫.৬৮ শতাংশ হারে ১০ হাজার ৫২৫ মেক্টিন টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশি। আর এবছর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ছিল ১০৩ দিনে ১ লাখ ৭০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ১১ হাজার ৭৩০ টন চিনি উৎপাদন করা। যা সরকারি চিনিকলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র এই চিনিকলটিই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। আর গত মৌসুমে আখ সংকটে মাত্র ৮১ হাজার ৮২৯ মেক্টিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৪০৭ মেক্টিক টন চিনি উৎপাদন করেছিল। আরো জানা যায়, সারাদেশে সর্বমোট নয়টি সরকারি চিনিকলে উৎপাদিত চিনির মধ্যে শুধু এই চিনিকল থেকেই আখ ক্রাশিং ৩০ শতাংশ এবং ৩৪ শতাংশ চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। আখের মূল্যবৃদ্ধি ও মিলজোন এলাকায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে আখ মাড়াই জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে শতভাগ বন্ধ রাখায় এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এবিষয়ে চিনিকলটির মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আসহাব উদ্দিন বলেন, গত ১০ বছরের ইতিহাসে এবছরই প্রথম একর প্রতি প্রায় ১০ মেক্টিক টন আখ মিলের কারখানায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী মাড়াই মৌসুমের জন্য মিল এলাকায় ইতিমধ্যে ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপন করা হয়েছে। আশা করি আগামী আখ মাড়াই মৌসুমেও চিনিকলে আখ সংকট থাকবে না। এবিষয়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, দেশের ৯টি চিনিকলে যে চিনি উৎপাদন হয়েছে তার ৩৪ ভাগ চিনি উৎপাদন হয়েছে এই চিনিকলে। মিল এলাকায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার বন্ধে প্রশাসন,আখচাষীসহ সকলের সহযোগিতা ও চিনিকলের সকল কর্মকর্তা শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দীর্ঘদিন পর ভালো অবস্থানে এসেছে চিনিকলটি। তবে কি পরিমাণ লাভ হবে তা চূড়ান্ত হিসাব না করে বলা সম্ভব নয়।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris