সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

মান্দায় বালু দস্যুদের থাবায় নদীগর্ভে বিলিন ফসলি জমি

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মান্দা প্রতিনিধি : নদীপাড়ের উর্বর ফসলি। বছরের আট মাস এসব জমিতে গম, ভুট্টা, আলু, সরিষা, মিষ্টি আলু, মরিচ, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়। কিন্ত বালু দস্যুদের কালো থাবায় এরই মধ্যে আত্রাই নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে কৃষকের অন্তত ৫০ বিঘা উর্বর জমি। কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের উর্বর ফসলি জমি রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এসি ল্যাণ্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকার কৃষকেরা। এর পরও বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবৈধপস্থায় বালু উত্তোলন করায় তাঁদের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এলাকার অনেক কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর ভাটি অংশের বাইবুল্যা এলাকায় অবৈধভাবে নদীপাড় থেকে বালু উত্তোলন করছেন আরিফ হোসেন নামের এক যুবক। একইভাবে খুদিয়াডাঙ্গা শ্মশানঘাট, এলেঙ্গা সুইসগেট, পাঁজরভাঙ্গা, ফকিন্নি নদীর ব্রিজ সংলগ্ন পূর্বপাড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীপাড়ে ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকের আর কোনো জমি থাকবে না। হুমকির মুখে পড়বে আত্রাই নদীর উত্তরতীরের বেঁড়ি বাঁধ। বর্ষা মৌসুমে চরম ঝুঁকিতে পড়বেন নদীপাড়ের শতাধিক পরিবার।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে বাইবুল্যা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীপাড়ের ফসলি জমিতে শ্যালোমেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে বালু দস্যুদের লোকজন। এর পর ড্রেজার মেশিন দিয়ে ওইসব বালু কেটে দিয়ে নদীর অপর প্রান্তে নিয়ে জমা করা হচ্ছে। সেখান থেকে বিক্রি করা হচ্ছে অবৈধপন্থায় উত্তোলন করা এসব বালু।
দ্বারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশীদ বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের বাধা দেওয়ায় গ্রামের লোকজন কয়েকদফা হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁদের এলাকার লোকজন এখন আর ভয়ে কথা বলেন না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বিঘ্নে বালু উত্তোলনের নামে কৃষকের ফসলি জমি নিঃশেষ করছে বালু ব্যবসায়ীরা। একই গ্রামের কৃষক আব্দুল বারী সোনার বলেন, এরই মধ্যে একটি আমবাগান, বনজ বাগানসহ অন্তত ৫০ বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। রহস্যজনক কারণে প্রশাসন বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, বৈধভাবে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির মুন্সী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। যদি নদীর তীর কেটে কেউ মাটি উত্তোলন করে তাহলে তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris