সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ছিনতাইকারীদের বহিরাগত লেডি গ্যাং!

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীতে ঢুকে পড়েছে বহিরাগত ছিনতাইকারীদের লেডি গ্যাং। এরকমই একটি লেডি গ্যাং-এর তিন সদস্যকে শহরের ভোলাবাড়ী এলাকায় থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয়দের সহায়তায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মোসা: রোহেলা বেগম (২৫), মোসা: নিপা আক্তার (২২) ও শিশু মোসা: সুমনা আক্তার (১৬)। রোহেলা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাল নাসিরনগর থানার ধর মন্ডল গ্রামের মো: নূর ইসলামের মেয়ে, নিপা আক্তার একই এলাকার মানিক মিয়ার মেয়ে ও সুমনা আক্তার মো: আব্দুল কাদেরের মেয়ে।
জানা যায়, মোসা: হুনুফা আলম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার ইমামদীর কান্দির গ্রামের মো: বদিউল আলমের স্ত্রী। তিনি রাজশাহী মহাগরীর এয়ারপোর্ট থানার সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোয়ার্টারে বসবাস করেন। হুনুফা আলম গত সোমবার দুপুর ১২টায় বায়া বাজার থেকে বায়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মোড় যাওয়ার জন্য একটি ভ্যানে উঠেন। এসময় একই ভ্যানে আরও ৫ জন মহিলা উঠে। ভ্যানটি এয়ারপোর্ট থানার ভোলাবাড়ী তানোর রোডে পৌঁছালে ভ্যানে থাকা মহিলারা চাপাচাপি শুরু করে এবং হুনুফা আলমকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে হুনুফা আলমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন জোর করে ছিনিয়ে নেয় আসামি রোহেলা। এসময় হুনুফা আলম চোর চোর বলে চিৎকার করলে পাশেই অবস্থান করা এয়ারপোর্ট থানার এসআই মো: মমিদুল ইসলাম ও তার টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় আসামি মোসা: রোহেলা বেগম, মোসা: নিপা আক্তার ও শিশু মোসা: সুমনা আক্তারকে গ্রেফতার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা রুজু করে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের গবেষণার মাঠ থেকে অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন হাসিবুল হোসেন শান্ত (২৯), মো: শামিম ইসলাম (২৫) ও মো: রাব্বি আহম্মেদ (২০)। হাসিবুল রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী কড়াইতলার মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে, শামিম ইসলাম একই থানার মেহেরচন্ডী পূর্বপাড়ার মো: আমিরুল ইসলামের ছেলে ও রাব্বি মতিহার থানার কাজলা ফুলতলার মো: মোছলেছুর রহমানের ছেলে। জানা যায়, গত সোমবার রাতে আরএমপি’র বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: হাফিজুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, এসআই প্লাবন কুমার সাহা ও তাঁর টিম থানা এলাকায় ডিউটি করছিলো। এসময় তাঁরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চন্দ্রিমা থানার ছিনতাই মামলার আসামি হাসিবুল, শামিম ইসলাম ও রাব্বি আহম্মেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের গবেষণার মাঠে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ওই দল রাত পৌনে ১ টায় সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসামি হাসিবুল, শামিম ইসলাম ও রাব্বিকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি জানায়, সে গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মেহেরচন্ডী ফ্লাইওভারের নিচে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রফেসর ইসরাত জাহান রুপার কাছ থেকে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় তারা ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইকৃত মোবাইল, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris