সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ২ শিশুর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছে আইইডিসিআর

Paris
Update : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে। সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এদিন সকাল ১০টা থেকে আইইডিসিআর এর দলটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর নিপাহ আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি ওই দুই শিশুর বাবা মিজানুর রহমান ও মা পলি খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন। তারা নিহত দুই শিশু ও তাদের মা-বাবার রোগের কেস হিস্ট্রির বিষয়ে শোনেন। এছাড়া নিহতদের পাকস্থলী থেকে সংগ্রহ করে রাখা নমুনা তারা নিয়েছেন। এ সময় রামেক হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরাও আইইডিসিয়ারের বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তারা রাজশাহীর চারঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, নিহত দুই শিশু ও তার মা-বাবা আসলে কোনো অজানা রোগে আক্রান্ত কীনা তার সঠিক কারণ বের করা প্রয়োজন। তাই আইইডিসিআর এর তিন সদস্য অধিকতর তদন্তের জন্য রাজশাহী এসেছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করতে তারা কাজ করছেন। ঢাকায় পাঠানো আগের নমুনাও পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া ওই দুই শিশুর পাকস্থলীর খাবারের নমুনা হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। সেই নমুনাও তারা সংগ্রহ করেছেন। এটি ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, খাবারে কোনো বিষক্রিয়া ছিল কিনা। এদিকে ওই দুই শিশুর মা ও বাবার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল। তাই আপাতত তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে নিজেদের বাড়িতে গিয়েও তাদের আইসোলেশনেই থাকতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ওই দুই সন্তানের মা ও বাবার গতকাল (গত রোববার) জ¦র ছিল। আল্লাহর রহমতে আজকে আর জ¦র নেই। যেহেতু কোনো ভাইরাস এখনো শনাক্ত করা যায়নি, সেহেতু তাদের নিজ বাসাতেই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও আজকে রিলিজ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। জানা যায়, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ চত্বরে থাকা গাছের বরই কুড়িয়ে এনে দুই শিশুকে খেতে দিয়েছিলেন তাদের গৃহকর্মী। না ধুয়েই সেই বরই খেয়েছিল এই দম্পতির দুই শিশু সন্তান। এরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে মারা যায় বড় মেয়ে মাশিয়া। দুইজনেরই জ¦র ও বমির লক্ষ্মণ ছিল।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris