শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবিনাদের গন্তব্য অজানা

Paris
Update : শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ছেলেদের ফুটবল লিগে দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই অনেক ক্লাব ঘর গুছিয়ে ফেলে। কিন্তু উল্টো চিত্র মেয়েদের ফুটবলে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া দলবদলের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জাতীয় দলের শীর্ষ ফুটবলারদের সঙ্গে কোনো ক্লাব যোগাযোগই করেনি। মার্চের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া লিগে তাই সাবিনা-সানজিদা-মারিয়ারা কোথায় খেলবেন সেটা তাঁরা নিজেরাও জানেন না। মিডফিল্ডার মারিয়া মান্দা যেমন বলছিলেন, ‘শুনেছি দলবদল শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো ক্লাব যোগাযোগ করেনি। সময় আছে, হয়তো সামনে করবে। দেখা যাক, কী হয়!’ এই দলবদল চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। ভারতের ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে এখন কলকাতায় আছেন সানজিদা আক্তার। কিন্তু নিজ দেশের লিগে যে দলবদল শুরু হয়েছে, সেটাই জানেন না এই উইঙ্গার। কলকাতা থেকে গত বৃহস্পতিবার তিনি বলছিলেন, ‘না, আমি কিছু জানি না। আমার সঙ্গে কোনো ক্লাব যোগাযোগও করেনি।’ ভারতের আরেক ক্লাব কিকস্টার্টের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কিন্তু পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। ভারতের ক্লাবটির হয়ে খেলতে আর সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাঁর। দেশের লিগে দলবদল চলমান থাকলেও জাতীয় দলের অধিনায়কের সঙ্গেও নাকি কোনো ক্লাব যোগাযোগ করেনি। গতবারের চেয়ে এবার কমেছে দল, মেয়েদের লিগে অংশ নিচ্ছে ৯টি ক্লাব। এবার বসুন্ধরা কিংস না থাকায় গত দুই আসরের রানার্স আপ আতাউর রহমান ভূঁইয়া এসসি ক্লাবকে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। গত মৌসুমে খেলা বেশির ভাগ ফুটবলারকে ধরে রাখছে তারা। দলটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহেল খন্দকার বলেছেন, ‘আগের মৌসুমের ২০ জনকে রেখে দিয়েছি আমরা। জাতীয় দলে খেলা পাঁচজনকে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। কাকে কাকে নেব সেটা অবশ্য ঠিক করিনি।’ এবার দলগুলো দুজন করে বিদেশি খেলোয়াড় দলভুক্ত করতে পারবে। কিন্তু বিদেশি ফুটবলার নেওয়ার সুযোগ কাজে লাগানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়তেই হিমশিম খায় ক্লাবগুলো। পেশাদারির চোখে ছেলেদের লিগের সঙ্গে আমাদের দেশের মেয়েদের লিগের তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই। এর পরও গত তিন বছর মেয়েদের লিগে অংশ নিয়ে মান বাড়ানোর চেষ্টা করেছে বসুন্ধরা কিংস। আর্থিকভাবে লাভবানও হয়েছেন মেয়েরা। কিন্তু এবার সেই দলটাকেই ধরে রাখা যায়নি। এতে অপেশাদার এই লিগের মান আরো কমার সঙ্গে খেলোয়াড়রাও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।-এফএনএস

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris