সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

তানোরে রিপিয়ারিং কাজে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

Paris
Update : সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

তানোর থেকে প্রতিনিধি

ইচ্ছে মত অনিয়ম দূর্নীতি করছেন, প্রতিটি রিপিয়ারিং রাস্তার কাজে অনিয়মে ভরপুর, আবার সিন্ডিকেটে অগ্রিম লাভ দিয়ে কিনে করা হচ্ছে রিপিয়ারিং কাজ। অবস্থাটা এমন এলজিইডি ও কতিপয় ঠিকাদারেরা মিলেমিশে লুটপাট শুরু করেছেন। রাজশাহীর তানোরে প্রায় ৯৭০ মিটার রাস্তার রিপিয়ারিং কাজে যত্রতত্র ভাবে বেড তৈরি করে  কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির) মোহর ঘোড়াডুবি মোড় থেকে দরগা মোড় পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং করা হচ্ছে। রিপিয়ারিং রাস্তা টি কিনে করছেন স্থানীয় যুবদল নেতা ঠিকাদার নজরুল ও আতিকুর রহমান লিটন এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ঠিকাদার ইয়াসিন। তারা দরপত্রে কাজ না পেলেও অগ্রিম কয়েক পারসেন্ট লাভ দিয়ে কিনে করছেন কাজ। স্থানীয় ঠিকাদার হওয়ার কারনে ইচ্ছে মত অনিয়ম দূর্নীতি ও নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করলেও রহস্য জনক কারনে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ একেবারেই নিরব ভূমিকা পালন করছেন। এতে করে রাস্তার টিকসই নিয়ে সন্দিহান গ্রামের লোকজন।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটিতে ডাবলু বিএম করা হয়েছে পুরাতন খোয়া ও ভিজে মাটি দিয়ে। প্রাইম কোড করার পর প্রচুর ভাবে বালু মারা হয়েছে। যাতে কেউ বুঝতে না পারে। প্রাইম কোড করার সময় তেমন ভাবে রোলার মারা হয়নি, দেয়া হয়নি পানি। এজন্য পুরো রাস্তায় উঁচু নিচু হয়ে আছে। মোহরগ্রামের বাসিন্দা মিলন, মাসুদ, মুকলেস, সাজাসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে রাস্তার কাজ হয় এই প্রথম দেখলাম। বেডের বেশির ভাগ জায়গায়  খোয়াগুলো উঠে যাচ্ছে। ঠিকাদার সবার পরিচিত স্থানীয় ও তানোর সদরে বাড়ি। মুলত এজন্যই তাদেরকে  কেউ কিছুই বলতে পারেনা। অফিসের লোকজনদের দেখা পাওয়া যায় না। এত অনিয়ম দূর্নীতি করছে যা দিবালোকের মত পরিস্কার। কিন্তু সবাই নিরব। আমরা কৃষক, কাজের কি বুঝি, তারপরও যতটুকু বুঝি সে তুলনায় কাজের মান এত পরিমানে খারাপ বলা যাবে না। সরকার উন্নয়নের জন্য অধিক বরাদ্দ দিচ্ছেন, আর সেই বরাদ্দ লুটেপুটে খাচ্ছেন। কয়েক দিন পর আলু উত্তোলন শুরু হবে। আলু বহনকারী যানবাহন চলাচল করলেই রাস্তার বারোটা বেজে যাবে। আর বর্ষা মৌসুমে ঢল মারা পানি হলে পিচ থাকবে না। কারন পিচ ও বিটুমিন একেবারেই নাই বললেই চলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মোহর ঘোড়াডুবি মোড় থেকে দরগা মোড়ের আগ পর্যন্ত বেড তৈরি করা আছে। বাকি কয়েক মিটার রাস্তার কার্পেটিং ভালো থাকার কারনে নাম মাত্র পরিস্কার করে তার উপরেই কার্পেটিং করার কারনে পিচ দেয়া হচ্ছে। যাতা মাতা ভাবে পরিস্কার করে যে পিচ দেয়া হচ্ছে শুধু পোড়া মবেলের গন্ধ বের হচ্ছে। ঘোড়া ডুবি মোড় থেকে বালাইনাশকের দোকানের সামনে ইউড্রেন করা হয়েছে। তার চারদিকে বাঁশ দিয়ে ঘিরা আছে এবং ইউড্রেনের দু’ধারে যত সামান্য খোয়া ফেলা আছে। কয়েকজন দোকানীরা জানান, অনেক রাস্তার কাজ দেখেছি। কিন্তু এরকম রাস্তার কাজ আর দেখিনি। কার্পেটিং করার পর মুরগীর পায়ে উঠে যাবে পিচ খোয়া।

জানা গেছে,  রাস্তার কাজের সামগ্রীর দাম অধিক বাড়তি। দিনের দিন পাথর ও বিটুমিনের দাম প্রচুর ভাবে বাড়ছে । দরপত্রে যিনি কাজ পান তার পক্ষে একশো ভাগ না সত্তর ভাগ সঠিক কাজ করা কষ্টকর ব্যাপার। তাহলে যারা কিনে কাজ করছেন কি পরিমানে দূর্নীতি করছে বুঝে নিতে হবে। বিশেষ করে কাজের দায়িত্বে থাকা কর্তা বাবুদের ম্যানেজ ছাড়া কিনে কাজ করা অসম্ভব। আর বিএনপি নেতা ঠিকাদার ইয়াসিন, যুবদল নেতা ঠিকাদার নজরুল ও লিটন এলজিইডিকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়তই কিনে এভাবেই  কাজ করে থাকেন। এটা কর্তৃপক্ষ ও তাদের মহা সিন্ডিকেট। তাছাড়া এসময় কিনে কাজ করা অসম্ভব। চল্লিশ  ভাগও সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবেনা। এসব অসাধু কর্মকর্তাদের জন্যই সরকারের উন্নয়ন মুলুক কাজ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে, সেই সাথে স্থানীয় এমপিরও বদনামের সৃষ্টি হয়।

ঠিকাদার নজরুল ও লিটনের কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন রকমের কথা বলবেনা বলে সাব জানিয়ে দেন। কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী শাহিন জানান, ৯৭০ মিটার রাস্তার রিপিয়ারিং কাজ হচ্ছে। দরপত্রে যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তার কাছ থেকে কত লাভ দিয়ে কিনে করছেন এবং কাজের বরাদ্দ কত জানতে চাইলে তিনি জানান পরে কথা বলছি বলে দায় সারেন তিনি। উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীনের মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে তিনিও রিসিভ করেন নি।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris