স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী মহানগর পাইকারী কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ নির্বাহী কমিটির কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সদস্য ও প্রাক্তন নেতারা। শনিবার (২৭ জানুয়ারী) মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজরের একটি ভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান কমিটির অবসান চেয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠণের দাবি তোলেন সাধারণ সদস্যরা। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করেন আয়োজকরা। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া সম্পাদক সাগর ও দপ্তর সম্পাদক মজিবর ছাড়াও পূর্ববর্তী কমিটির সভাপতি-সম্পাদক সহ প্রায় শ’দুয়েক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রাক্তন কমিটির (২০১৬) সভাপতি আনোয়ার হোসেন দিপক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক গোলাম মুর্তুজা। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ২০১৬ সালের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যারা কমিটি গঠণ করেছিলেন তাদের নিকট দাপ্তরিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করার সময় প্রায় সাড়ে বারো লাখ টাকার একটি হিসেব বুঝি দেয়া হয়োছিল। কিন্তু ছয় বছর অতিক্রম হবার পরেও ঐ কমিটি নিয়মনীতি অনুযায়ী কোন প্রকার সাধারণ সভার আয়োজন করেনি। এছাড়াও দ্বিতীয় মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হবার পরেও নিয়মানুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করেনি। সাধারণ সদস্যদের অধিকার পূরণে তারা পুরোটাই ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণ সভার আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ সদস্যদের সামনে সমিতির বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসেব উপস্থাপন করতেও তারা গড়মসি করছে। এছাড়াও নিয়মানুযায়ী ২০১৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও সেটির আয়োজন না করে জোড়পূর্বক দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে তৃতীয় মেয়াদ উত্তীর্ণ করছে অবৈধ পন্থায়। বর্তমান কমিটির সভাপতি ফাইজুল ইসলাম ও সম্পাদক হাসিব খান সাচ্চু নিজেদের পেশীশক্তি প্রয়োগে অবৈধভাবে সমিতির নির্বাহীবডির অন্যান্য সদস্যদেরকে পরিচালনা করছেন বলে দাবি তোলেন সাধারণ সদস্যরা। উল্লেখ্য, সমিতির গঠণতন্ত্র মোতাবেক গত ১৪-১২-২০১৮ তারিখে বর্তমান কমিটির মেয়াদকাল শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে গঠণতন্ত্রনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হওয়া, আয়-ব্যয়ের হিসেব না দেওয়া, সাধারণ সভার আয়োজন না করা, সাধারণ সদস্যদেরকে সুবিধা বঞ্জিত রাখা সহ আরো বেশকিছু অভিযোগ উত্থাতন করে গত ২০-০১-২০২১ ইং তারিখে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন প্রাক্তন কমিটির নির্বাহী বডির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা। কিন্তু তারপরেও আজ অবদি অবৈধ কমিটির সর্বোচ্চ নেতারা নির্বাচন আয়োজনের কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়নি। যার প্রেক্ষিতে বর্তমান নির্বাহী কমিটিকে অবৈধ ও বিলুপ্তি ঘোষণাপূর্বক নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিচি গঠণ করে সুবিধাবঞ্চিত সদস্যরা।