মঙ্গলবার

১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ রুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বিএসএফ’র পোশাকধারী মাদক পাচারকারী রাজশাহীর রেন্টু আটক রাজশাহীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২১ জন গ্রেফতার দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান দিচ্ছে সরকার ধরাছোঁয়ার বাইরে স্বর্ণ পাচারচক্রের মুল হোতারা আরডিএ খাঁচা মার্কেটের দেয়ালে গাছের শেকড়ের ফাঁটল, মারাত্মক ঝুঁকিতে ভবন ফাহাদ বায়োলজি থেকে মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া ২৫৯ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধণা প্রদান ১৫ মে থেকে বাজারে আসছে রাজশাহীর আম

অষ্টম ও নবম শ্রেণীর নতুন বই পেতে আরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষার্থীদের

Paris
Update : শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

এফএনএস

বছরের শুরুর দিন শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়ার রীতিতে কোভিডকালে যে ছেদ পড়েছিল, তা থেকে এবারও বের হতে পারছে না জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি। প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যের পাঠ্যবই প্রস্তুত হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রমের সব বই হাতে পাওয়ার জন্য আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ডের (এনসিটিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩৮১,২৭৬,৬৩০ শিক্ষার্থীর জন্য ৩০৭,০৮৩,৫১৭ কপি বই ছাপা হচ্ছে। যার মধ্যে অষ্টম শ্রেণির জন্য ৫৩৪,৮৪২,২৭১টি বই এবং নবম শ্রেণির জন্য ৫০৬,৮৪৫,৫৭৩টি বই ছাপা হয়েছে। তবে এ দুই শ্রেণির কারিগরি বিভাগে প্রায় ২০ লাখ বইয়ের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এনসিটিবির উৎপাদন ও বিতরণ বিভাগ বলছে, ইতিমধ্যেই সব প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করা হয়েছে। তবে মাধ্যমিকের কিছু বই এখনও বাকি আছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, অষ্টম ও নবম শ্রেণির নতুন পাঠ্যক্রমের আনুমানিক ২০ লাখ বই এখনও পাঠানো হয়নি। উল্লেখ্য, এই বই দুটি দশদিশা প্রিন্টার্স এবং মোল্লা প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন কোম্পানি ছাপার দায়ীত্বে। মোল্লা প্রিন্টিং-এর কাছে প্রায় দুই লাখ বই রয়েছে, তবে দশদিশা প্রিন্টিং থেকে এর চেয়েও বেশি পরিমাণ বই আছে। এসব বই ছাপার কাজ শেষ হলেও বর্তমানে বাঁধাই প্রক্রিয়া চলছে। সমস্ত কপি আগামী সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে আগেই বইয়ের কাজ শুরু করেছে এনসিটিবি। তবে নতুন পাঠ্যক্রমের অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাণ্ডুলিপি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত না হওয়ায় কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। গত বছর নতুন পাঠ্যক্রমের বইকে ঘিরে অসংখ্য বিতর্কের কারণে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার নতুন পাঠ্যক্রমের বইয়ের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করতে সতর্কতা অবলম্বন করেছে যাতে আর কোনো বিতর্ক না হয়। একাধিক রাউন্ড যাচাইয়ের পরে, কার্যাদেশ জারি করা হয়েছে, যার ফলে এই বইগুলি শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে, সূত্র যোগ করেছে। জানতে চাইলে মোল্লা প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনের মালিক মিন্টু মিয়া বলেন, পাণ্ডুলিপি হাতে পেতে সময় লেগেছে। কার্যাদেশ পাওয়ার পর চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বইগুলো পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে, আমি ইতোমধ্যে আমার প্রায় সবকটি বই প্রেরণ করেছি, মাত্র কয়েকটি বাকি আছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পাঠাব। এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের মতো কয়েকটি জেলা ছাড়া সব শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই সপ্তাহের শেষ নাগাদ বাকি বইগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। বইয়ের কোনো অভাব নেই, এবং বিতরণটি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা হয়েছে, তিনি যোগ করেন। সূত্র বলছে, শুধু পাণ্ডুলিপি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত না হওয়ায় কারণ ছাড়াও পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেরিতে চুক্তি হওয়া, কাগজ সংকট, পাল্প সংকট, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, পাঠ্যবই ছাপা বাদ দিয়ে নোট-গাইড ছাপানো ইত্যাদি কারণে এবার সময়মতো সব বই ছাপা হয়নি। উল্লেখ্য, বই ছাপা শেষ না হওয়া অবস্থায়ই সারাদেশে উদযাপন হয়েছে পাঠ্যপুস্তক দিবস-২০২৩। এদিন দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে একটি বা দুটি বই।

ছাপার মান নিয়ে প্রশ্ন : শুল্ক ছাড় নিয়ে সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করে বিদায়ী বছরে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপিয়ে পাঠিয়েছিল ছাপাখানাগুলো। আরআর প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের স্বত্বাধিকারী জহুরুল ইসলামের দাবি, এ বছর কাগজের মান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বইয়ের উজ্জ্বলতা ৮৫ জিএসএম থেকে কমিয়ে ৮০ জিএসএম করা হয়েছে। তবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলছেন, বই ছাপানোর ওপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে ভোটের কারণে। “আমাদের বইগুলো ছাপা হয় রোল কাগজে, আর পোস্টার ছাপা হয় ফ্ল্যাট কাগজে। ফ্লাট কাগজে সাধারণত আমাদের বইয়ের কাভারটা ছাপা হয়। এর ফলে একটু প্রভাব পড়েছে। তবে বেশি প্রভাব পড়েনি। কারণ মূল বইটা রোলিং কাগজে ছাপা হয়।” অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবারই বইয়ের মান নিয়ে কথা ওঠে। কাগজ নিয়ে কথা ওঠে। এটি আংশিক সত্য, পুরোটা সত্য নয়। প্রেস মালিকরা মানে ছাড় দিতে চায়, ধরা পড়লে আমরা বই কেটে দিই। অনেককে জরিমানা করি। “সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে ফেলা হয়। সরকারি রেট ৩ টাকা ১৫ পয়সা, এরা ১ টাকা ৯০ পয়সায় কাজ করতে চায়। এখন ১ টাকা ৯০ পয়সা দরে আমি কী বই পাব, বলেন?”


আরোও অন্যান্য খবর
Paris