সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাসিক’র ১৭ নম্বর কাউন্সিলর শাহু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Paris
Update : সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে তার স্ত্রী নাজমা আলীর বিরুদ্ধেও আলাদা আরেকটি মামলা করা হয়েছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে দুজনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করা হয়।
দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেছেন। মামলা দুটির আসামি শাহাদত আলী শাহু ও নাজমা আলী নগরীর উত্তর নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকায় দুই জনের নামেই বেশ কয়েকটি বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে। রাসিকের সবচেয়ে ধনী কাউন্সিলর এই শাহাদত আলী শাহু। দুদক জানিয়েছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়ে কাউন্সিলর শাহু ও তার স্ত্রী নাজমা আলীর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। একপর্যায়ে দু’জনকে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে কাউন্সিলর শাহু তার নামে ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৪ টাকার এবং নাজমা তার নামে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৬ টাকার সম্পদ দেখান। তবে অনুসন্ধানে দুদক দেখে, শাহুর নামেই ১১ কোটি ৯৩ লাখ ১৫ হাজার ৫০৪ টাকার এবং তার স্ত্রী নাজমা আলীর নামে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আছে। এক্ষেত্রে শাহু ২ কোটি ২৪ লাখ ৬২ হাজার এবং তার স্ত্রী নাজমা ৩৯ লাখ ৮০ হাজার ২৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। তথ্য গোপন করে তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। দুদক আরো জানায়, মোট সম্পদের মধ্যে কাউন্সিলর শাহুর ৭ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৫০৩ টাকার সম্পদই তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। আর তার স্ত্রীর আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ আছে ১ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৯২৬ টাকার। অর্থাৎ মোট সম্পদের বড় অংশই তারা অবৈধ পন্থায় অর্জন করেছেন। এতে তারা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। দুটি মামলাতেই দুজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দুদকের কাছে তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের এই মামলার বিষয়ে কথা বলতে কাউন্সিলর শাহুর মোবাইলে ফোন করা হয়। তার অফিসের কর্মচারী মো. রিপন ফোন ধরে জানান, কাউন্সিলর এখন অফিসে নেই। কথা বলা যাবে না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris