রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

লুসিকে দেখতে যাবেন শেখ রেহানা

Paris
Update : শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

এফএনএস
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের সাথে দেখা করবেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশে চিঠি লিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন লুসি হল্ট। শুক্রবার বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সেখান থেকে লুসির আবাসস্থল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন চার্চে গিয়ে তার সাথে দেখা করবেন শেখ রেহানা। সূত্রমতে, ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্মগ্রহণ করেন লুসি হল্ট। তার বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। ১৯৪৮ সালে উচ্চমাধ্যমিকপাস করেন লুসি। ১৯৬০ সালে অক্সফোর্ড মিশনের একজন কর্মী হিসেবে বাংলাদেশে আসেন তিনি। নিয়োজিত হন মানবতার সেবায়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় সহযাত্রীরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তিনি থেকে যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় আত্মগোপনে থেকে যশোর হাসপাতালে আহতদের সেবা করেন। দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বপক্ষে চিঠি লেখেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধাহতদের সেবা করেন। দেশ স্বাধীনের পরও তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। মায়ার বন্ধনে থেকে যান। যুদ্ধ পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিও দেন লুসিকে। পরে দেশের বিভিন্নস্থানে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন লুসি। ৯৩ বছর বয়সের লুসি শেষ জীবনে স্থায়ী হয়েছেন বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনে। তার জীবনের একমাত্র চাওয়া ছিল বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এবং মৃত্যুর পর বরিশালের মাটিতে যেন তাকে সমাহিত করা হয়। দীর্ঘসময় ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাননি। এ ছাড়া অর্থ সংকটে নিজের চিকিৎসা চালানো এবং ব্রিটিশ নাগরিক লুসির বাংলাদেশের ভিসা ফি নবায়নে বছরে ৪০-৪৫ হাজার টাকা যোগাড় করাও ছিল কষ্টসাধ্য। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। তৎপর হয়ে ওঠে বরিশালের স্থানীয় প্রশাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসা ফি মওকুফ যুক্ত পাসপোর্ট তুলে দেন লুসির হাতে। পরে প্রধানমন্ত্রী লুসির স্বপ্ন পূরণে গণভবনে লুসিকে ডেকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছেন। সেই লুসির শারীরিক খোঁজ নিতে শুক্রবার সশরীরে স্বয়ং লুসির ঘরে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। তার এ আগমনকে কেন্দ্র করে এখন সাজ সাজ রব পুরো অক্সফোর্ড মিশনে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা তার সাথে একান্ত কিছু সময় কাটাবেন। এমন খবরে দারুণ খুশি বৃটিশ বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক লুসি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris