এফএনএস
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের পা ভাঙার হুমকি দিয়ে ভুল করেছেন বলে আদালতে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু। গত মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড়-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা দায়রা জজ মার্জিয়া খাতুনের আদালতের খাস কামরায় তিনি লিখিতভাবে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট এবং তার কর্মী-সমর্থকদের ইঙ্গিত করে ভোটের পর পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ হলে বিষয়টি নজরে আসে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির। পরে তাকে শোকজ করলে তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। জানা গেছে, রোববার রাতে পঞ্চগড়-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তার পক্ষে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজারে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু। এ সময় তিনি বলেন, যারা নৌকাকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন চলেছে, এখন নৌকার বিরোধিতা করছে, এদের চিহ্নিত করে রাখবেন। ৭ তারিখের পর এ সমস্ত লোককে নৌকার আশপাশে দেখলে প্রয়োজনে তাদের ঠ্যাং (পা) ভেঙে দেওয়া হবে। এদের খন্দকার মোশতাক বলা হয়। নৌকার পতাকাতলে দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছে; এখন নৌকার বিপক্ষে তারা অন্য সুর ধরেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন। এ বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে বিষয়টি এলে সোমবার নুরুজ্জামান নুরুকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়।