এফএনএস
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। এদিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। জানা গেছে, দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৬টি দলের মনোনীতরা ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দুই একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমার সময় বাড়ানোর আবেদন জানালেও তা আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। আজ ১ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই চলবে। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার তালিকায় বিএনপি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল–বাসদসহ ১৮টি নিবন্ধিত দলের নাম নেই। তবে, সবমিলিয়ে ২৬টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে কে সই করবেন, তা জানিয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছে– ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় পার্টি (জেপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), গণফ্রন্ট, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামি ঐক্যজোট (একাংশ), বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ–বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট–বিএনএফ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। ওই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।