শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাশিয়াডাঙ্গা থানার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Paris
Update : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার

আরএমপি’র কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আইনুল হকের পরিবারের সাথে হেনস্থা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অভিযুক্তদের সাথে যোগসাজোসের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবার লিখিতবক্তব্যে এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে হড়গ্রাম নতুনপাড়া নিবাসি ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আইনুল হক বলেন, তার বড় ছেলে জামিনুল হক বিদ্যুৎ পেশাগত কারনে জার্মানিতে থাকে। বড় ছেলের শ^শুর নজরুল ইসলাম আমার ছেলের কাছে অনেকদিন ধরেই অনৈতিকভাবে মোটা অংকের অর্থ দাবি করে আসছিল। বিদ্যুৎ সেই দাবি মেনে না নেয়াতে গত ২৩-০৪-২০২২ ইং তারিখে অভিযুক্ত নজরুল নয়জন ব্যক্তিকে নিয়ে আমার বাসাতে এসে আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করা সহ আমার ছোট ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সংঘবদ্ধ দুর্কৃত্তের দল কৌশলে স্থান ত্যাগ করে। পরবর্তীতে গত ০৮-১২-২০২২ ইং তারিখে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম আমার প্রবাসি ছেলে বিদ্যুৎকে ফোন করে আবারো টাকা চায়। টাকা না পেয়ে নজরুল আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা ছাড়াও হুমকি ধামকি প্রদর্শন ও মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখায়। এবং পরেরদিন ৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে আমার অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধুকে আমার বাসা থেকে নিয়ে চলে যায়। তারা আমার বাসা ত্যাগ করার পূর্বে স্বর্ণ, নগদ টাকা সহ অন্যান্য দামিদামি জিনিসপত্র সহ মোট পাঁচটি বড় বড় ল্যাগেজ জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এবং যাবার সময় আবারো তারা ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। আমার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে গত ২৪-০১-২০২৩ ইং তারিখে উক্ত ঘটনার বর্ণনাপূর্বক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করি। যার জি.ডি নং ১০৮৪।

থানায় করা অভিযোগের কারণে অভিযুক্তরা আমার প্রবাসি ছেলের স্ত্রীকে প্ররোচিত করে পাঁচ লাখ টাকার যৌতুকের দাবি ও স্ত্রীকে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ এনে রাজশাহীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এ১১(গ) ধারায় আমার পুরো পরিবারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে তারা আবারো মিথ্যা ও বানোয়াট একটি বিষয়কে ঢাল করে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি জি.ডি করেন। যার জিডি নং ৬১৮/২০২৩। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমানাদি থাকায় সেই জিডি’র মামলাটিও বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমার করা অভিযোগের তদন্তপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই এমরান অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে নানারকম অনৈতিক চাঁপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে ঝামেলা মীমাংসা করে নেবার প্রস্তাব তারা দেয় এবং অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন। তদন্ত কর্মকর্তার প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমার ছেলে ও আমাকে মিথ্যা মামলা সহ নানাবিধ ভয়ভীতি দেখান। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের নির্দোশ প্রমাণ করতে আমাদের বিরুদ্ধে ও অভিযুক্তদের পক্ষে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছে।জানতে চাইলে, কাশিয়াডাঙ্গা থানার এসআই এমরান হোসেন বলেন, আমি সরেজমিনে তদন্ত কওে সত্য প্রতিবেদন দিয়েছি। সেটি কার পক্ষে গেলো আর কার বিপক্ষে গেল সেটি আমার বিষয় না। আর মীমাংসা ও টাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ। এদিকে, গত ২৫-০৭-২০২৩ ইং তারিখে ঐ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত গাফিলতি ও ও আসামীদের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী পরিবার আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর নিজের জিডি’র সুষ্ঠু তদন্তের দাবিপূর্বক তদন্ত কর্মকর্তা এমরানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনুল হক আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করাতে তিনি আমাকে ও আমার ছোট ছেলে বিন্দুকে হুমকি ধামকির মাত্রা বাড়িয়ে দেন বলেও জানান আইনুল হক।। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের কলরেকর্ডসহ অন্যান্য তথ্য উপাত্ত প্রদর্শণের পরেও ঐ থানার বেশ কয়েকজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা আমাদেও উপর চরাও হয়ে পরোক্ষভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনায়, অবশেষে গত ২৪-০৯-২০২৩ ইং তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ভুক্তভোগী পরিবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে একটি আবেদন করেন। যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, আইজিপি, ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বলে জানান সংবাদ সম্মেলনকারি আইনুল হক।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris