শনিবার

২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়ায় মদ খাওয়ার অনুমতি?

Paris
Update : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

এফএনএস

পুঠিয়ায় দুইজন নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট হতে প্রতিমাসে মাত্র সাড়ে ৯ লিটার চোলাই মদ খাওয়ার অনুমতি পেয়েছে। আর এই অনুমতি নিয়ে তারা আইনশৃঙ্খা বাহিনীর এবং এলাকার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রতিদিন শতশত লিটার চোলাই মদসহ বিভিন্ন প্রকার নামিদামী কোম্পানির মদ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেওয়ায়। এই সুযোগে পুঠিয়া এবং বেলপুকুর থানা দুইটিতে মাদক কারবারিরা রমরমা ব্যবসা করছে। বেশিরভাগ মাদক সেবনকারীরা উঠতি বয়সী কিশোর এবং বেকার যুবকরা বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন। প্রতিটি মাদককারবারিদের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়িয়ে রয়েছেন। তাই,উপজেলা জুড়ে হাত বাড়ালেই ফেনসিডিল ইয়াবা ইরোইন গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মাদক বিক্রেতা বলছে, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে তারা মাদককারবারি করে আসছে। উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা হলো বানেশ্বর বাজার। পুঠিয়া-চারঘাট উপজেলার সীমানাবর্তী তাতারপুর  এলাকায় রবি নামের একজন নৃ-গোষ্ঠীর (ম্যাথর) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট হতে  সে মাত্র সাড়ে ৯ লিটার চোলাই মদ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু খাওয়ার অনুমতি নিয়ে রবি আইনশৃঙ্খা বাহিনী এবং উপজেলা বিএনপির মৃত এক নেতার ছেলে মিলে ম্যাথরকে ব্যবহার করে প্রকাশ্যে প্রতিদিন শতশত লিটার চোলাই মদসহ বিভিন্ন প্রকার নামিদামী কোম্পানির  মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। তাতারপুর এলাকার ছালাম হোসেন বলেন, নেশাগ্রস্তরা লাইন ধরে প্রকাশ্যে মাদক কিনতে দেখা যায়। একই কায়দায় ঝলমলিয়া বাজারে নরেশ নৃ-গোষ্ঠীর (ম্যাথর) প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার মাদক কেনাবেচা করছে। ঝলমলিয়া বাজারের কছিমুদ্দিন এবং বানেশ্বর  এলাকার মানজুর রহমান বলছেন, থানা পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের সখ্যতা থাকার জন্য বাধাহীনভাবে মাদক কারবারি চালাচ্ছে। বানেশ্বরে প্রকাশ্যে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার রবি মাদক বিক্রি করে থাকে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। ম্যাথদের মদ খাওয়ার অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি উপজেলায় মাদক কারবারি করে আসছে মোতালেব নামের ব্যক্তি। সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এ ব্যাপারে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে (পুঠিয়া সার্কেল) ইনেস্পক্টর সাইফুল আলম বলেন, পুঠিয়ায় দুইজন ব্যক্তির মাসে সাড় ৯ লিটার মদ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এই অনুমতি নিয়ে তারা শতশত লিটার চোলাই মদ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris