সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার আর নেই

Paris
Update : সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩

আরা ডেস্ক

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তালুকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা ৭ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জিনাতুন নেসা তালুকদারের বড় ছেলে মাহমুদ হাসান ফয়সল সাংবাদিকদের জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। রোববার সকালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাহমুদ হাসান ফয়সল বলেন, আমার মা জিনাতুন নেসা তালুকদারের নামাজে জানাজা আগামীকাল সোমবার বাদ যোহর টীকাপাড়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে কাদিরগঞ্জ গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে। নামাজে জানাজায় সকলকে শরীক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া পাড়া এলাকায় ১৯৪৭ সালের ৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন জিনাতুন নেসা তালুকদার। তার বাবা মৌলভী পারভেজ আলী মিয়া ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী। ১৯৬৩ সালে রাজশাহীর পিএন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন জিনাতুন নেসা। এরপর কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবন থেকেই সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন জিনাতুন নেসা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের একজন নেত্রী হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি।

এরপর ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে তার ভূমিকার জন্য তৎকালীন সরকারের খাতায় রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যান জিনাতুন নেসা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে দেশমাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে সরাসরি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।

ভারতে গিয়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মহেন্দ্র রায় লেনের বিখ্যাত গোবরা ক্যাম্পে অস্ত্র পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবাদানের প্রশিক্ষণ নেন জিনাতুন নেসা । প্রশিক্ষণ শেষে তাকে ৭নং সেক্টরের সাব সেক্টর ৪- এর অধীনে দায়িত্ব দেয়া হয়। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দেয়া ছাড়াও প্রয়োজনে সরাসরি যুদ্ধ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।

স্বাধীনতা অর্জনের পরও দেশ ও সমাজসেবায় নিয়োজিত ছিলেন জিনাতুন নেসা। ১৯৭৭ সালে তিনি নওহাটা ডিগ্রি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। একইসঙ্গে চালিয়ে যান রাজনীতি ও সমাজ গড়ার কাজ। ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন তিনি। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের প্রথমে উপমন্ত্রী ও পরে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাসিক মেয়রের শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রবিবার (২৯ অক্টোবর) এক শোক বিবৃতিতে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদারের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সাহসী নেতৃত্ব, সততা ও আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার। তিনি কলেজ জীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। নারী অধিকার বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখায় বেগম রোকেয়া পদক-২০১৮ এবং শিক্ষা সম্প্রসারণে অবদান রাখায় ১৯৯৮ সালে মীর মোশাররফ হোসনে পদক পান অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ শোক বিবৃতিতে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এমপি এনামুলের শোক

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রবীণ রাজনীতিক সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।  মরহুমা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এমপি এনামুল হক।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল  রবিবার (২৯ অক্টোবর)  এক বিবৃতিতে এই শোক প্রকাশ করেন তিনি। চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার। তিনি কলেজ জীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। নারী অধিকার বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখায় বেগম রোকেয়া পদক-২০১৮ এবং শিক্ষা সম্প্রসারণে অবদান রাখায় ১৯৯৮ সালে মীর মোশাররফ হোসনে পদক পান অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

মহানগর আ’লীগ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি মাহাবুবুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

 

রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শান্তি মিছিল

স্টাফ রিপোর্টর

বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে গতকাল রবিবার সকাল ১১.৩০টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে শান্তি মিছিল বের হয়। শান্তি মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এঁর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু এঁর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, নগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারো আন্দোলনের নামে ২০১৩/১৪ এর মতো অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য করছে। গতকাল তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, একজন পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছে। আগামীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন আমাদের এই দেশ। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপি-জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে তাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই রুখে দিবো।

আসাদের অবস্থান : বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ এবং বিএনপি জামায়াতের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসুচি পালিন করেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। রোবাবর সকালে রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে পরে বঙ্গবন্ধু মুরুলের সামণে অবস্থান কর্মসুচি পালন করেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল আলাম খিচ্চু, সাবেক ছাত্রনেতা রাকিবুল ইসলাম, কামরান ইয়ামিন, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, রাত্রে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও দেপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান, পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তহিদুল হক তুহিন,রাজশাহ জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রফিকুজ্জামান রফিক ও অপপ্রচার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন পিন্ট, রাজপাড়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন রুবেল, দামকুড়া  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বাবু আলী, কাটাখালি পৌরসভার ৪নং এর সভাপতি মানিক হোসেন, সহ মিছিলে আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এবং সকল সহযোগী সকলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যুবলীগ : বিরোধীদলের ডাকা হরতালের জবাব দিতে গতকাল রবিবার ২৯ অক্টোবর শান্তি সমাবেশের নেতৃত্ব দেন মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি। গতকাল নগরীর শালবাগানে সকাল থেকেই অবস্থান নেয় যুবলীগের ৩৭ টি সাংগঠণিক ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। বেলা দেড়টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে শালবাগান থেকে রেলগেট পর্যন্ত আসে যুবলীগ। উক্ত শান্তিসমাবেশে অন্যান্য নেতাকর্মীর সাথে উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠণিক সম্পাদক মুকুল শেখ। আজ ৩০ অক্টোবর ‘তারুণ্যের জয় যাত্রা ব্যানারে’ সমাবেশ করবে নগর যুবলীগ।

শালবাগানে অবস্থানকালে তৌরিদ আল মাসুদ রনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামাত সমাবেশের নামে রাজধানী ঢাকাতে যে নৈরাজ্য ও ত্রাস সৃষ্টি করেছিল সেটি সর্বদাই নিন্দনীয়। তারা শুধু ত্রাসের রাজত্বই কায়েম করেনি, পূর্ববর্তী সময়ের মতো তারা আগুণ সন্ত্রাসের পাশাপাশি কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্যও উপর হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যাও করেছে। সমাবেশের নামে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে পরেরদিন ডেকেছে হরতাল। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি অশান্ত করে যারা হরতাল ডাকে তাদের সেই পরিকল্পনা নৎসাত করে দেয়ার অভিপ্রায় নিয়ে কেন্দ্রিয় কর্মসূচি মোতাবেক আজ আমরা নগরবাসি, ব্যবসায়ি ও পথচারিদের জানমালের নিরাপত্তা দেবার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে শান্তিসমাবেশ করছি।

উক্ত শান্তি সমাবেশে নেতারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের এজেন্ডা হয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। তারা এই দেশেকে অস্থিতিশীল করে পাকিস্তানের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। এই ধরনের দেশের শত্রুকে বাংলাদেশে কোন অবৈধ কাযৃক্রম পরিচালনা করতে দেবেনা যুবলীগ। দেশ ও জাতীয় স্বার্থে আজ এই শান্তি সমাবেশ। দেশের এই অপশক্তিকে কোনভাবেই মাথা চারার সুযোগ দেবেনা যুবলীগ। উক্ত শান্তি সমাবেশ থেকে বিএনপি-জামায়াতকে হুশিয়ারি করে নেতারা বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উন্নয়নমূখি নানা কর্মকান্ড দেখে তারা হিংসাত্বক রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। নেত্রীর হাত আরো শক্তিশালী করতে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সর্বদাই প্রস্তুত। দেশের স্বার্থে আমরা সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত। দেশ ও জাতীর কল্যাণে যিনি সর্বদাই কাজ করেন সেইরকম একজন প্রধানমন্ত্রী এই দেশে আছে এবং থাকবে। শেখ হাসিনার হাতকে আরো বেশি শক্তিশালী করার লক্ষ্যনীয়ে যুবলীগ সর্বদাই মাঠে আছে, থাকবেও বলে উপস্থিত বক্তিতায় বলেন নগর যুবলীগের নেতারা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris