সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গঠিত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে রাজশাহী জেলা ও নগর শ্রমিক লীগের নবগঠিত কমিটি বাতিল

Paris
Update : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এফএনএস
তড়িঘড়ি করে শ্রমিক লীগের সম্মেলন দিয়ে দলে জামাত-বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেয়ার অভিযোগ করে জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী জেলা ও মহানগরের গত ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত কমিটিকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু। গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্যাডে সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ঘোষণাটি ২৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে সংশ্লিষ্টদের হাতে এসে পৌঁছেছে। কমিটি অবৈধ ও বাতিল ঘোষিত বিজ্ঞপ্তিটি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালককে পাঠানো হয়েছে। “জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার অবৈধ ঘোষিত কমিটি বাতিল প্রসঙ্গে” বিষয় রেখে বিজ্ঞাপ্তিতে কে. এম. আযম খসরু বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার সব নেতা-কর্মীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও রাজশাহী মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক সূত্রে জানতে পারলাম আমাকে অবহিত না করে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার সম্মেলন করার জন্য সংগঠনের সভাপতি (চলতি দায়িত্ব) নূর কুতুব আলম মান্নান একটি চিঠি দিয়েছেন। জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি ভ্রাতিপ্রতিম সংগঠন। যা তার নিজস্ব গঠনতন্ত্র ও শ্রম আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। ব্যক্তিগত ইচ্ছায় সংগঠন পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। জাতীয় শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্রের ১৫(ঘ) ধারা অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক ফেডারেশন পরিচালনার প্রধান নির্বাহী দায়িত্ব পালন করেন। সে অনুযায়ী যে কোন কমিটির সম্মেলনের তারিখ ও কমিটি অনুমোদনে সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করে থাকেন। কিন্তু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে কিছুই জানেন না। জাতীয় শ্রমিক লীগের ইতিহাসে সভাপতি কর্তৃক কোন সম্মেলনের তারিখ কিংবা কোন কমিটি অনুমোদনের চিঠিতে স্বাক্ষর করার নজির নেই। সভাপতি সংগঠনের যে কোন বিষয়ে সাধারণ সম্পাদককে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা ছাড়া কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে চিঠি দিতে পারেন না। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রাজশাহী জেলা শাখা ও মহানগর ও সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র, শ্রম আইন এবং সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থী কাজ। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার ব্যক্তি স্বার্থে কতিপয় দুর্নীতিবাজদের পরামর্শে এ ধরণের বির্তকিত চিঠিপত্র লেখে সংগঠনের ভীতর বিভাজন সৃষ্টি করে বিএনপি-জামাতের লোকজনকে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। সভাপতি (চলতি দায়িত্ব¡) এর এমন কর্মকাণ্ড শ্রম আইন অনুযাযয়ী অবৈধ শ্রম চর্চা এবং সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থী কাজ। তাই সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে সভাপতি (চলতি দায়িত্ব) নূর কুতুব আলম মান্নান ২২ সেপ্টেম্বর তারিখের রাজশাহী মহানগর শাখার সম্মেলন গঠনতন্ত্রের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বাতিল করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করেছিলাম এবং পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় আমার অনুরোধ এবং সংগঠনের নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর কমিটিতে মাহবুবুল আলমকে সভাপতি ও মোহাম্মদ আকতার আলীকে সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী জেলা কমিটিতে আব্দুল্লাহ খানকে সভাপতি ও আবু বকর সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে যে অবৈধ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ঘোষিত কমিটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ, বেআইনী এবং সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থী ঘৃনীত কাজ। সুতরাং সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সংগঠনের মধ্যে বিশৃংখলা এড়ানোর লক্ষ্যে অনৈতিক পন্থায় অবৈধভাবে ঘোষিত ওই কমিটিকে গঠনতন্ত্রের ১৫ (ঘ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তা বাতিল করা হলো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris