সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে পাওনা টাকা আদায়ে সংবাদ সম্মেলন

Paris
Update : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

তানোর থেকে প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে পাওনা টাকা পরিশোধ না করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ইসাহাক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পরে তানোর প্রেসক্লাবে এসংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ইসাহাক মন্ডল। এদিকে পাওনা টাকা আদায়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেও টাকা না দেওয়ার কারনে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ইসাহাক। টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে দাবি পাওনাদার ইসাহাকের। এতে করে টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত যাতে আব্দুল্লাহ আল কাফি বিদেশ যেতে না পেরে এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তানোর পৌর এলাকায় সিটি ব্যাংকের এজেন্ট শাখা খোলা হয়। এশাখায় চাকুরীর জন্য বিগত ২০২২ সালে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির)  গুড়ইল কৃষ্ণপুর গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র নানা অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল কাফি, তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির) দেবিপুর গ্রামের মৃত ইয়াসিন মন্ডলের পুত্র ইসাহাক মন্ডলের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ধার নেয়। টাকা নেয়ার সময় কাফি রুপালী ব্যাংক তানোর শাখার একটি চেক দেন। কিন্তু কাফির হিসাব নম্বরে কোন টাকা ছিল না। এঅবস্থায় পাওনাদার ইসাহাক বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পরিশোধের কথা বললেই কাফি নানা তালবাহানা করেন। কিন্তু টাকা দিতে রাজি হন না। যার কারনে ইসাহাক ২০২২ সালের ১৭ মার্চ তারিখে রুপালী ব্যাংক তানোর শাখায় চেকটি নিয়ে গেলে সমপরিমাণ টাকা না থাকার কারনে ওই তারিখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে দেন। যার হিসাব নম্বর ৩৫৭৪০১০০২১৭১৪১ চেক নম্বর ঝইখট ৬০০৭৯৪০। এরপর আইনজীবির মাধ্যমে কাফিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করতে বলা হয়, তানাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর কাফি কোন কর্নপাত করেননি। যার প্রেক্ষিতে ১৩৮ ধারায় জেলা রাজশাহীর তানোর থানার আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ১৩৯ সি/২০২২( তানোর)।

ভুক্তভোগী ইসাহাক আরো বলেন, আমি এক একর জমি বন্ধক রেখে কাফিকে ১০ লাখ টাকা দিই। সে টাকা ফেরত না দেওয়ার কারনে আমি এখনো জমি তুলতে পারিনি। এখন শুনছি কাফি বিদেশে পাড়ি দিবেন। সে শুধু আমার টাকা না অনেকের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে আছেন। তাকে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন ঘটনায় একাধিকবার জেল হাজতে যেতে হয়েছে। আমার দাবি আমি একজন অসহায় দরিদ্র ব্যাক্তি আমার পাওনা টাকা দেওয়ার পর যেন বিদেশ যেতে পারে। কোনভাবে সে বিদেশে যেতে পারলে আর দেশে ফিরবে না। তাই প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ কাফিকে নজর বন্ধি করা হোক, নচেৎ তার প্রতারণার জন্য অনেককে পথে বসতে হবে। তবে আব্দুল্লাহ আল কাফি, টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাদের কাছে থেকে যে পরিমান টাকা নেওয়া হয়েছিল সেটা পরিশোধ করা হয়েছে। পরিশোধের পর ইসাহাক বলছে এখনো ১০ লাখ টাকা পাব। আসলে ইসাহাক একজন প্রসিদ্ধ দাদন ব্যবসায়ী। তাদের খপ্পরে অনেকে পথে বসেছে। ইসাহাক ও তার পরিবারের লোকজন দাদন বা সুদের কারবার করে থাকেন এটা সবাই জানে। আর আমি বিদেশে যাব এটা মিথ্যা ও অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না। সে আদালতে মামলা করেছে সেটা মোকাবিলা করব। যদি ১০ লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে আদালত রায় দিলে অবশ্যই তাকে পুরো টাকা দেওয়া হবে। কারন আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris