সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি

Paris
Update : বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩

দেলোয়ার হোসেন রনি, গোমস্তাপুর
রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর আশা করে ভারতের পশ্চিমবংগ ও বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। এ নিয়ে বেশ কয়েকদফা বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্টরা। গণমাধ্যমে এ নিয়ে বেশ কিছু লেখালেখি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা দায়িত্বশীল কেউ ভারত সফরে গেলে এ আলোচনা উঠে আসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরকে ঘিরে আবারও স্বপ্ন দেখছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দারা। তাদের সাথে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তারা এ রুট দিয়ে যেকোন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। এরই অংশ হিসেবে আবারও এ অঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবী বাস্তবায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর নিকট এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ সালে রহনপুর থেকে ভারত রেল যোগাযোগ স্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগ পর্যন্ত এ রুটে ট্রেন চলাচল করেছে। ১৯৬৫ সালে পাক- ভারত যুদ্ধের পর রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ বছর পর ১৯৯০ সালে রুটটি পুনরায় চালু হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে। এখন এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল পন্য পরিবহন হয়ে থাকে। আগে থেকে ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। এই বন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ভারত থেকে পিঁয়াজ,গম, ভুট্টা ক্লিংকার ও ফলমূল বাংলাদেশে আসে। রহনপুর থেকে রেলপথে ভারতের দূরত্ব মাত্র ১০ কি:মিঃ। ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানী স্টেশনের দূরুত্ব অনেক কম। এছাড়া এ রুটটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এই রেলপথ পরিদর্শন করে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। বর্তমানে রহনপুর থেকে ভারত হয়ে নেপাল রেল ট্রানজিট চালু রয়েছে। এর আগে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ -ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চালু করার আবেদন করেছেন। এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে দুদেশের পর্যটনের নতুন দিগন্তের সুচনা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুর ও ভারতের সীমান্তবর্তী স্টেশন সিঙ্গাবাদে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস অফিস নির্মাণে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। সীমান্তের ওপারের সংসদ সদস্য শ্রী খগেন মুর্মু এ বিষয়ে তার সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। আমরা সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর নিকট প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের আলোচ্যসুচীতে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছি। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের সাথে কথা হলে, তিনি জানান, রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছে এ অঞ্চলের জনসাধারণ। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয় সম্বলিত একটি আবেদন পত্র রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পেয়েছি। আমি এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার প্রদান করবো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris