সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ির কাকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানাধীন কাকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির কিছু পুলিশ সদস্য ও বিপদগামী কয়েকজন ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন, বাসাবাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর, কারণ ব্যতীরেকেই দুটো মোটর সাইকেল জব্দ করাসহ উঠেছে নানা অভিযোগ। উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নে মোসড়াপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী ঐ পরিবার গতকাল ১৭ আগস্ট নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, গত ১০-৬-২০২৩ ইং তারিখে পাকড়ি ইউনিয়নে ইয়াজপুর গ্রামে জমির বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান এই সমস্য বিদ্যমান থাকায় বৃদ্ধ নাজিমুদ্দিনের (৮৭) পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তাদের। নিহতরা হলেন- রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা ছোটন (৪৫), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কানুপাড়া গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে মেহের আলী (৬৫) এবং তার বড় ভাই নাইমুল (৭০)। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নিহত সোহেল রানার ছোট ভাই হৃদয় বাদী হয়ে গোদাগাড়ি থানায় একটি মামলা করেন।

উক্ত সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫-০৮-২০২৩ ইং তারিখে কাকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য একই গ্রামের বেশকয়েকজন ভূমিদস্যুদের নিয়ে নাজিমুদ্দিনের ছেলে জালাল মেম্বারের বাসায় গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসেন। এছাড়াও ঐ বাড়ির মহিলা সহ সকলকে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাবার হুমকি ধামকি দেন। ফেরার সময় পুলশ ও বহিরাগতরা বৃদ্ধ নাজিমুদ্দিনের বাড়ির বেশকিছু আসবাবপত্র, মাটির চুলা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে ভয়ভীতি সঞ্চার কওে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। উক্ত মামলার মোট ২১ জন আসামীর মধ্যে দুইজন এই পরিবারের সদস্য। এরমধ্যে জালাল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও জালালের ছেলে সাইফুল ইসলাম এখনো পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামীর খোঁজে প্রায়শই পুলিশ সদস্যরা বৃদ্ধ নাজিমুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আসামীর বাড়ি থেকে দুটো মটর সাইকলে জোড়পূর্বক থানায় নিয়ে যাবারও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, প্রায়শই ভুক্তভোগী ও আসামী পরিবারের লোকজনকে মিথ্যে অস্ত্র মামলা দিয়ে হয়রানির স্বীকার করা হবে বলেও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে কাকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির বেশ কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জালাল মেম্বারের মেয়ে হালিমা খাতুন। তিনি বলেন, সুষ্ঠ তদন্ত মাধ্যমে এই হত্যা মামলার ন্যায় বিচার আমাদের কাম্য। কিন্তু তাই বলে তদন্ত আর গ্রেফতাদের নামে নিয়মিতভাবে এমন ধরনের বেআইনী কার্যকলাপ আর প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার কাম্য নয়।

লিখিত অভিযোগ তারা আরো বলেন, পুলিশকে ব্যবহার কওে গ্রামের কিছু অসাধু ব্যক্তি ও ভূমিদস্যু আমাদেও পরিবারের কাউকে জমিতে চাষবাদ করতে দিচ্ছে না। লিখিত বক্তব্যে হালিমা খাতুন আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পাকড়ী হাজী মানিক উল্লাহ ওয়াকফ এষ্টেটের সম্পত্তি বাৎসরিক লীজে চাষাবাদ করে আসছিল। ঘটনার দিন (১০-০৬-২৩) আমার বাবা-চাচারা জমিতে চাষ করতে গেলে রাজশাহী ডিসি অফিসে কর্মরত সেলিম রেজা বহিরাগত ও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলার কারণেই অনাকাঙ্খিত সেই হত্রাকান্ঠ ঘটেছে। কিন্তু সেই দায় পরিকল্পিতভাবে আমাদের পরিবারের উপর চাঁপিয়ে দেয়া হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris