সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

লালপুরের ঐতিহ্য কাঁসা শিল্প বিলুপ্তির পথে

Paris
Update : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

শাহ আলম সেলিম, লালপুর

কালের পরিক্রমায় ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নাটোরের লালপুরের ঐতিহ্য কাঁসা শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। কাঁসার বিভিন্ন রকমের ব্যবহারিক পাত্র তৈরির সময় ঢক,ঢক,ঝন,ঝন শব্দে ও ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত থাকতো এই কাঁসা পল্লী এলাকা।এক সময়ে দৈনন্দিন তৈজসপত্রে অধিকাংশ তৈরি হতো কাঁসা দিয়ে। আধুনিক সভ্যতায় এ্যালুমিনিয়ান,স্টেইনলেস ষ্টীল,ম্যালামাইন,সিরামিক সহ প্লাস্টিক সামগ্রী বাজার দখল করে নেওয়ার কারণে লালপূরের কাঁসা পল্লীতে ব্যবহারিক পাত্র তৈরির ঢক,ঢক,ঝন,ঝন শব্দ আর শোনা যায় না। ক্রেতাদের আনাগোনায় তেমন চোখে পড়ে না।এতে ঝিমিয়ে পড়েছে কাঁসাজ দব্যৈর ব্যবসায়ীকরা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার মানুষের সাংসারিক কাজে কাঁসাজ পন্যের কদর কমে গেছে।  এতে লালপুরের ঐতিহ্য কাঁসা শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। জানা যায়,নবাবী আমলে বর্গীয় হাঙ্গামার সময় বর্গীদের অত্যাচারে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরুম মহকুমার খাগড়া থেকে কাঁসা বণিক ও শ্রমিক লালপুরে,কলমে সহ নবাবগঞ্জ এলাকায় স্থাপনা করেন। সে সময় প্রায় ৫০টি কারখানায় দক্ষ কারিগরা নিখুঁত হাতে বগি থালা,টেডি প্লেট,বর প্লেট, বিভিন্ন ডিজাইনের গ্লাস,গলাচিপাকলস,রেকাব,পানদানি,চুনদানি,ডাবর(বুল),জগ,বাটি,পিকদানি,ফুলদানি,পাতিল,চামচ,

ডেকচি,হাতল,ঘন্টা ইত্যাদি তৈরি করতে তারা। চৌদ্দজন মহাজনের মাধ্যমে চার শতাধিক শ্রমিক প্রতিদিন প্রায় ৫শ কেজি কাঁসাজ দব্য উৎপাদন করতো। বর্তমানে তিন জন মহাজনের মাধ্যমে তিন টি কারখানায় ১৫জন শ্রমিক প্রতিদিন প্রায় ৪০ কেজি কাঁসার সামগ্রী তৈরি করছে বলে জানা গেছে। মতামত,কারিগর নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ আগের মত এখন আর কাঁসার তৈরি জিনিস কিনতে চাই না। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন,কাঁসা শিল্প লালপুরে ঐতিহ্য বহন করে আসছে। এই শিল্প দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিতে আমি নিজেই কাসাঁর তৈরির জিনিস অনেককে উপহার দিয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাঁসার তৈরির জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়ায় শিল্পটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমরা উপজেলা প্রশাসন সহ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কাঁসা শিল্পকে টিকে রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছি।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris