সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীর লক্ষিপুরে জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন

Paris
Update : রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী নগরীর লক্ষিপুর মৌজা এলাকায় নকল দলিলের মাধ্যমে অন্যের জমি ক্রয় বিক্রয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাজশাহী প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লক্ষীপুর ঝাউতলা নিবাসী মফিজুল ইসলাম ও তার পরিবার উক্ত জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মফিজুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে জানান, তার বাবা মরহুম আবু বক্কর ১৯৯২ সালে লক্ষিপুর মৌজার উক্ত জায়গাটি ৯৯৯৪/৯২ দলিল মূলে ক্রয় করেন। যার আর.এস খতিয়ান নং: ২২৩, জেএল নং: ০৭, সার্ভে নং: ১৩৮। জমির পরিমাণ .১৬ (দশমিক ষোল) একরের কাত .০৯০০ (দশমিক শূণ্য নয় শূণ্য শূণ্য) একর উত্তরাংশ। তিনি আরো জানান, পিতার অবর্তমানে ওয়ারিশসূত্রে ঐ জমির মালিক হন তিন ভাই বোন। এরা হলেন, মফিজুল ইসলাম, শাহানাজ বেগম,ও সুলতানা আজমেরী। ক্রয়সূত্রে জমির প্রকৃত মালিক মরহুম আবু বক্কর ২০০৩ সালে মৃত্যুবরণ করার পর থেকে এখন অবদি ওয়ারিশগণ কোন প্রকার ঝালেমা ও বাধাবিঘ্ন ছাড়াই বিবদমান জায়গাটি ভোগদখল করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ভূমিদস্যুদের মাধ্যমে উক্ত জায়গাটি নকল দলীলের মাধ্যমে দুইজন ডাক্তার মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করেন। অভিযুক্ত ডাক্তার নূরুল ইসলাম ও ডাক্তার মোজাম্মেল হক জোড়পূর্বক উক্ত জমিটির দখল নিতে গেলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বাঁধা দেবার চেষ্টা করলে তারা ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা ছাড়াও নানাভাবে লাঞ্চিত করেন। এছাড়াও একাধিকবার তাদের গুন্ডাবাহিনী আমার উপর আক্রমন চালায়।
পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ঐ জমির উপর তারা আর কখনোই আসবেনা বলে ক্রয়কারি ব্যক্তিদ্বয় মহামান্য আদালতের নিকট দুইবার বন্ড প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে মহামান্য আদালতে অভিযোগ দায়ের করার পরেও তারা উক্ত জমিতে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবার নিজেদের পৈত্রিক জমি রক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুরোধ করেন। ডাক্তার নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা বৈধ দলিল দেখেই জমি ক্রয় করেছি। তাছাড়া ঐ জমি নিয়ে তারা (দাবীদার) আদালতে দুটো মামলা করেছিল। দুটোর মধ্যে একটির রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। আর অন্যটি এখনো চলমার রয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris