সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নির্বাচনের পরপরই বিপিএল হবে ৩ ভেন্যুতে

Paris
Update : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

এফএনএস : আগামী বছরের শুরুতে হবে জাতীয় নির্বাচন। তবে নির্বাচনের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এজন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দিনক্ষণও নির্ধারণ করতে পারছে না বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তবে কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক শনিবার জানালেন, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই বিপিএল মাঠে গড়াবে। অন্যবারের মতো এবারও তিনটি ভেন্যুতে হবে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ টুর্নামেন্ট। মিরপুরে শনিবার সংবাদমাধ্যমকে ইসমাইল হায়দার বলেছেন, ‘এই বছর জাতীয় নির্বাচন আছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি। বিপিএল কবে শুরু করতে পারি, সেই আলোচনা আমাদের একটি বোর্ড মিটিংয়ে হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করবো। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে বলে পত্রপত্রিকায় শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে পরে একটা সময়োপোযোগী তারিখ দেখে বিপিএল শুরু করবো। জানুয়ারিতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কেননা শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।’ জানুয়ারিতে শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ধরেই কাজগুলো গুছিয়ে রাখতে চাইছে গভর্নিং কাউন্সিল। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ প্লেয়ার্স ড্রাফটও করে ফেলার ইচ্ছে তাদের। এই সদস্য সচিব বলেন, ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট চেষ্টা করবো সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে শেষ করে ফেলতে, যেন প্রত্যেকটি টিম দল গোছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়।’ বিপিএলের সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ইতোমধ্যে প্লেয়ার্স ড্রাফটের সম্ভাব্য তারিখও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেছেন তিনি, ‘আমরা সম্ভাব্য যে ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে, প্রত্যেককে জানিয়ে দিয়েছি যে সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করবো। আমরা চাই ১০ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরু করতে। এর আগেও যদি করার সুযোগ থাকে এবং জাতীয় নির্বাচন যদি আগে হয়ে যায় তাহলে আগেও করতে পারি।’ নতুন করে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বাড়ার সম্ভাবনার কথাও জানালেন ইসমাইল হায়দার, ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া আছে। আগের কেউ যদি চালিয়ে যেতে না চায় তাহলে আমরা পরিবর্তন করতে পারি। এ ছাড়া আমাদের যদি স্লট বাড়ে, তাহলে একটা টিম বাড়াতেও পারি। এরকম আলাপ আলোচনা হয়েছে বোর্ডের মিটিংয়ে।’ নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে রাজশাহীকে পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা দিলেন তিনি, ‘রাজশাহীর জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। কেউ যদি দল চালাতে না চায়, তাহলে রাজশাহীর সুযোগ থাকবে। আবার যদি আমরা বিপিএল ৮ দল নিয়ে করি তাহলেও তাদের সুযোগ হতে পারে।’ গত আসরে ডিআরএস নিয়ে অনেক সমস্যার মুখে পড়েছিল বোর্ড। তারপরই বোর্ড ডিআরএস কোম্পানির সাথে চুক্তি করে। এবার তাই বিপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকেই ডিআরএস থাকছে, ‘গতবার ডিআরএস আনতে পারিনি গ্রুপ ম্যাচে। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচে ছিল। এবার ডিআরএস কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কোম্পানি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এদের কাছে নেই। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। আমরা চার বছরের জন্য তাদেরকে পাচ্ছি।’ প্রতি বছরই বিসিবি ভেন্যু বাড়ানোর কথা বললেও কোনোবারই সেটা হয়নি। এবারও জাতীয় নির্বাচনের কারণে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম এই তিনটি ভেন্যুতেই মাঠে গড়াবে বিপিএলে। এমনটাই জানালেন ইসমাইল হায়দার, ‘নির্বাচনের কারণে তিনটার বেশি ভেন্যু করতে পারবো না আমরা।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris