সোমবার

১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানসাট বাজারে ঠাকুরগাঁওয়ের আম বিক্রি, ক্ষুব্ধ স্থানীয় চাষীরা

Paris
Update : শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩

শিবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে কানসাটে জমে উঠেছে আম বাজার। জানা গেছে- প্রতিদিন সাড়ে চার’শ থেকে পাঁচশত ট্রাক বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হয়ে থাকে। এলাকার আমের দেশব্যাপি সুনাম থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যাপারীরা এখান থেকে আম সংগ্রহ করেন। আবার স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন মোকামে আম পাঠিয়ে থাকেন। তবে নতুন করে ঠাকুরগাঁও জেলার আম কানসাট বাজারে বিক্রি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এখানকার আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেনÑ চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের বাজারে মিশে বিক্রি হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার আম। আর এসব আম কিনে প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তারা। ফলে  রাজধানীক্ষ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম নষ্ট হতে পারে। উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের আবিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও থেকে আম এনে কানসাট বাজারে বিক্রি করছেন। কানসাট আম বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দুই ভ্যান ঠাকুরগাঁওয়ের আম এনে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। আবিরুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ঠাকুগাঁওয়ে ১৪’শ টাকা মণ দরে আম কিনেছেন। সে আম বেশি দামে বিক্রির আশায় কানসাট বাজারে নিয়ে এসেছেন। এর আগেও তিনি বাইরের জেলার আম কানসাটে বিক্রি করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন বাইরের জেলার চাইতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম অনেক সুমিষ্ট ও দামও বেশি। আবিরুল ইসলামের মত ঠাকুরগাঁও থেকে আম এনে কানসাট বাজারে বিক্রি করছেন একই উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের নাধড়া এলাকার জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বাজারে ঠাকুরগাঁওয়ের আমের চাহিদা তেমন নেই। ফলে বাধ্য হয়ে কানসাট বাজারে বিক্রি করছেন। তবে কেউ কেউ চিনে নিচ্ছেন তাদের আমগুলো বাইরের জেলার। আবার যারা চিনতে পারছে না-তারা ভুল করেই কানসাটের আম ভেবে সমমূল্যে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কানসাট আমের হাটের উদ্যোক্তা রায়হান আলী বলেন, কানসাটের আমের চাহিদা থাকায় জেলার বাইরের আম এখানে এনে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারা ঠকছেন। ফলে সুনাম নষ্ট হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের। শ্যামপুর এলাকার আমচাষী আনারুল ইসলাম বলেন, আমাদের খিরসাপাত আম মধুর চেয়েও মিষ্টি। অন্যজেলার আম এত সুমিষ্ট হবে না। বেশি মুনাফার লোভে বাইরের জেলার আম কানসাটে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই আম কিনে প্রতারিত হচ্ছে গ্রাহক। মোবারকপুর এলাকার অনলাইন আম ব্যবসায়ী নেয়ামতুল্লাহ জানান, কানসাট বাজার থেকে ২ হাজার ৮’শ টাকা মণ দরে তিন মণ আম কিনে ভোক্তার কাছে পাঠান। সে আম এতটাই টক ছিল ভোক্তা খেতে পারেনি। এমনকি দুদিনের মধ্যে সব আম পচে নষ্ট হয়ে গেছে। পরে বুঝেছেন তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ভেবে ঠাকুরগাঁওয়ের আম কিনেছিলেন। এ বিষয়ে কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, বাইরের জেলার আম বিক্রি করলে অবশ্যই বলে দেয়া উচিত। সেটি মানা হচ্ছে না। যারা বাইরের জেলার আম স্থানীয় বলে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris