শনিবার

১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাবনায় এক বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ

Reporter Name
Update : শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩

এফএনএস : বাড়ানো বেতনের ২০০ টাকা না নেওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদীতে বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে একযোগে শোকজ (কারণ দর্শানো) করেছেন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নোটিশ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ও সভাপতির অনুমতি ছাড়াই ২২ মার্চ প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একযোগে এতজনের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ দেখে তারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। তবে কেউ এ নোটিশ গ্রহণ করেননি। জানা যায়, সম্প্রতি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর বেতন মাথাপিছু ২০ টাকা হারে বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ালে শিক্ষকদেরও সম্মানীও বাড়ানো দাবি জানান তারা। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের মতবিরোধ চলছিল। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সবশেষ বৈঠকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্মানী ২০০ টাকা হারে বাড়ানো হয়। কিন্তু জানুয়ারি মাস থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা তা গ্রহণ করেননি। তাদের অভিযোগ, খাতা কলমে কয়েক মাস আগে থেকে শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ানো হয়েছে এমন দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক সে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাপে রাখতে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে বাদ রেখে বাকিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। খাতা কলমে শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ানো হয়েছে দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক সে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের শোকজ করা হয়নি। শুধু চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তারা নির্ধারিত সম্মানী নেননি। তবে শিক্ষকরা সে চিঠি গ্রহণ না করে বিষয়টিকে এখন শোকজ বলে প্রচার করছেন। পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া নিজ উদ্যোগে শিক্ষকদের এমন লিখিত কারণ দর্শানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম পরিচালনা পরিষদের আগামী বৈঠকের আগে যেন সঠিক কারণ তুলে ধরতে পারি। এজন্য সবাইকে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলেছি। সভাপতি বা অন্য সদস্যদের না জানিয়ে নিজ উদ্যোগে লিখিত চিঠি দেওয়া যদি নিয়ম বহির্ভূত হয় তাহলে আমি অপরাধ করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী সব শিক্ষকদের কাছে শোকজের বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 


আরোও অন্যান্য খবর