সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

চলে গেলেন ফুটবল পেলে, রেখে গেলেন ১০০ মিলিয়ন ডলার সম্পদ

Paris
Update : শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

চলে গেলেন ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে। ৮২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই শেষে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন পেলে। ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারণ রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করছিলেন পেলে। কেমোথেরাপি কাজ না করায় গত নভেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই কিংবদন্তিকে। কিন্তু অবস্থা খারাপের দিকেই যেতে থাকে। তাই তখন থেকেই ব্রাজিলের আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন তিনটি বিশ্বকাপজয়ী বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার। পেলের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। বাবার দেওয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো। কিন্তু তিনি ‘পেলে’ নামেই বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন। ‘ফিফা’ ম্যাগাজিনের পাঠক এবং জুরি বোর্ডের বিচারে তিনিই বিংশ শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ ফুটবলার। তবে ইন্টারনেটে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ভোট গিয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার পক্ষে। ফিফা শেষ পর্যন্ত যুগ্মভাবে দুজনকেই শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে। ২০২০ সালে ৬০ বছর বয়সে হঠাৎ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। বিদায় নিলেন পেলে।-এফএনএস

দীর্ঘদিন মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে ৮২ বছর বয়সে মারা গেলেন ফুটবলের রাজা ‘কালোমানিক’ পেলে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটায় সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় প্রচুর সম্পদ রেখে গেছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। সেলিব্রেটি নেট ওর্থের প্রতিবেদন মতে, মৃত্যুর সময় পেলের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। খেলোয়াড় অবস্থায় উপার্জনকৃত অর্থ চেয়ে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পরেই বেশি অর্থ উপার্জন করেছেন পেলে। নিজের অর্থ উপার্জনের ব্যাপারে পেলে বলেছিলেন, ‘বর্তমান ফুটবলারদের মতো ফুটবল খেলে আমি বড়লোক হইনি। আমি মূলত ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে বিজ্ঞাপন করে টাকা কামিয়েছি। কিন্তু আমি কখনো ধর্ম, তামাক, রাজনীতি কিংবা অ্যালকোহলের সাথে জড়িত কিছু থেকে অর্থ কামাই করিনি।’ পেলে নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সাস্তোসে।

ক্লাবের হয়ে প্রায় ১৮ বছর খেলেছেন তিনি। সাস্তোসের হয়ে ৬৩৬ ম্যাচে ৬১৮ গোল করেছেন পেলে। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে দুই বছর খেলেছেন ফুটবল সম্রাট। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইন্টারমিলানের মত ইউরোপের বড় বড় ক্লাব থেকে বিপুল অর্থের অফার পেলেও তা দূরে সরিয়ে রেখে ব্রাজিলেই থেকে গেছেন পেলে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত ফোর্বসের প্রতিবেদন মতে, পেলে শুধু ২০১৫ সালেই প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন। অবসর নেওয়ার পর পুমা, ফোক্সওয়াগেন, এমিরেটস এয়ারওয়েজের মত বিশ্বের নামীদামী সব কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি ছিল পেলের। কোম্পানি বিজ্ঞাপন করেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন পেলে। এছাড়াও ১৯৭৭ সালে অবসর নেওয়ার পরে ব্রাজিল সরকারের পক্ষ থেকে পেনশন পেতেন পেলে। সূত্র: মার্কা

মেসি বললেন : পেলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। মেসি এক ফেসবুক পোস্টে পেলের বেশকিছু ছবি আপলোড করে লিখেছেন, ‘শান্তিতে বিশ্রাম নিন। ‘ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই শেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কালজয়ী ফুটবলার পেলে। এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পেলে মারণ রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করছিলেন। কেমোথেরাপি কাজ না করায় গত নভেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই কিংবদন্তিকে। কিন্তু অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলে ব্রাজিলের আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন তিনটি বিশ্বকাপজয়ী বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার। পেলের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। বাবার দেওয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো। কিন্তু তিনি ‘পেলে’ নামেই বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন। ‘ফিফা’ ম্যাগাজিনের পাঠক এবং জুরি বোর্ডের বিচারে তিনিই বিংশ শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ ফুটবলার। তবে ইন্টারনেটে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ভোট গিয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার পক্ষে। ফিফা শেষ পর্যন্ত যুগ্মভাবে দুজনকেই শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে। ২০২০ সালে ৬০ বছর বয়সে হঠাৎ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। বিদায় নিলেন পেলে।

শেষকৃত্য : ফুটবলের রাজা পেলের শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হবে সান্তোস স্টেডিয়ামে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। ব্রাজিলের সান্তোসের হোম ভেন্যু ভিয়া বেলমিরো স্টেডিয়ামে সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন ব্যাপি হবে পেলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। পেলের প্রতি দেশের জনসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগও রাখা হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় স্বাস্থ্যের অবনতি হয় কোলোন ক্যান্সরে আক্রান্ত পেলের। এজন্য কেমোথেরাপি দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়, কারণ তার শরীরের বিভিন্ন অরগ্যান অকেজো হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান পেলে। সমাহিত করার জন্য হাসপাতাল থেকে পেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সাও পাওলোর ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। সেখানে তার দেহ রাখা হবে ২৪ ঘণ্টা। এরপর সান্তোস ক্লাবের প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে পেলেকে।

তখন ফুটবলের রাজাকে ‘শেষ শ্রদ্ধা’ জানাতে পারবেন ভক্ত-সমর্থকরা। হাসপাতাল থেকে কফিন সান্তোস পর্যন্ত সড়ক পথে পেলের মা সেলেস্তেরের বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বার্ধক্যের কারণে বিছানা থেকে উঠতে পারেন না পেলের মা। নিজ বাড়িতে সন্তানকে শেষবারের মত দেখবেন মা। যে ক্লাবের হয়ে ফুটবলার হিসেবে বেড়ে উঠা, যে ক্লাবের মাঠে অসংখ্য স্মৃতি সেই ক্লাব সান্তোসের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে পেলের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান। সান্তোষ ক্লাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পেলেকে ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাও পাওলোর ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামকে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেটা আবার সান্তোসের হোম ভেন্যু। বিবৃতিতে ক্লাবটি আরও জানায়, পেলের কফিন সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে নিয়ে সোমবার সকালে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে রাখা হবে। ঐদিন সকাল ১০টা থেকে ভক্তরা শেষবারের মত পেলেকে দেখতে পাবেন এবং ৩ জানুয়ারি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
শেষ পোস্ট : ২০২১ সাল থেকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হবার পর থেকে নিজ ঘরের মধ্যেই বেশি সময় কাটাতেন ফুটবলের কিংবদন্তি ব্রাজিলের পেলে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সোচ্চার ছিলেন তিনি।

সদ্য শেষ হওয়া কাতার বিশ^কাপ চলাকালীন নিজ দেশকে সমর্থন জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট করেন পেলে। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল বিশ^কাপ জিততে না পারলেও দলের খেলোয়াড়দের সাহস দিয়েছেন পেলে। ১৮ ডিসেম্বর বিশ^কাপ ফাইনালের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন পেলে। আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের ট্রফি নিয়ে ছবি পোষ্ট করেন তিনি। একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে পেলে লিখেছিলেন, ‘সব সময়ের মত আজও দুর্দান্তভাবে ফুটবল তার গল্প বলে চলেছে। মেসির প্রথম বিশ্বকাপ জয়, এটা তার পথচলায় প্রাপ্য ছিলো। আমার প্রিয় বন্ধু, এমবাপ্পে ফাইনালে চার গোল করেছে। আমাদের খেলার ভবিষ্যতের জন্য দর্শনীয় এই পারফরমেন্স দেখা দারুণ এক উপহারই ছিল। বিশ্বকাপে দারুন পারফরমেন্সের জন্য মরক্কোকে অভিনন্দন না জানিয়ে থাকতে পারি না। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা। দিয়েগো (ম্যারাডোনা) নিশ্চয় এখন হাসছে।’ এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর কোন পোস্ট করেননি পেলে। বিশ্বকাপের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি হন পেলে। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের চেষ্টা বৃথা যায়। চিরনিদ্রার দেশে চলে গেলেন পেলে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris