বৃহস্পতিবার

১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে রাসিকের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে : মেয়র টকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু হলেও জাতের আম পাড়া হবে ২৫ মে থেকে রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মিজু গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার বাঘায় দোকান কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যার দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ড শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধে পশু নিগ্রহের অভিযোগ উৎকণ্ঠার অবসান, স্বজনের বুকে ২৩ নাবিক কলেজে ভর্তি অনলাইনে আবেদন শুরু ২৬ মে, ফাঁকা থাকবে ৮ লাখের বেশি আসন সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ

গোমস্তাপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ সদস্যের অনাস্থা

Paris
Update : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ০৯ ইউপি সদস্য। অনাস্থায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, মাসিক মিটিং না করা, বরাদ্দ বন্টন না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এই অনাস্থা দিয়েছেন রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৯ সদস্য।
জেলা প্রশাসক বরাবর এই অনাস্থা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। এছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাহশাহী বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), রাজশাহী আঞ্চলিক স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক, গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অনাস্থার অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
অনাস্থার অনুলিপি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনিয়ন পরিষদে সর্বশেষ মাসিক সভা হয়েছিল গতবছরের ২৬ ডিসেম্বর। সেসময় চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সোহরাব প্রত্যেক মাসের প্রথম সপ্তাহে মাসিক সভা করে সকলের মতামত নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কারো মতামত বা পরামর্শ নেয়া তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত কোন সভায় হয়নি। এর বিপরীতে শুধুমাত্র খাতায় সাক্ষর নিয়েই নিজের খেয়াল খুশিমতো পরিচালনা করছেন চেয়ারম্যান।
অনাস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করে রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ইউপি সদস্য মো. মজলু মিঞা বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ভূমি স্থানান্তর কর, কাবিটা ও মসজিদের নামে বরাদ্দ আসলেও কোন কাজ করেননি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সোহরাব। এসব টাকা উঠিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন তিনি। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আগের লোককে সরিয়ে একজন অদক্ষ লোক নিয়োগ দিয়েছেন, তাতে হয়রানি ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে ইউনিয়নবাসীকে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২০০ জন কৃষকের নামে সরিষা চাষে প্রনোদনা আসলেও তা নিজের লোকজনকে দিয়ে উত্তোলন করেছেন। এছাড়াও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে ১০০-২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে, অথচ এর ফি মাত্র ১৫ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদেরকে কোনরকম বরাদ্দ ও হিসেব নিকেশ না দিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো পরিচালনা করছেন তিনি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই অনাস্থা দিয়েছি।
অনাস্থা দেয়া ইউপি সদস্যরা হলেন- মো. মজলু মিঞা, মনিরুল ইসলাম মুকুল, মো. বাচ্চু আলী, মো. খলিল, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. নাগগিস বেগম, মোসা. রুমেশা বেগম ও মোসা. রোকিয়া বেগম। এনিয়ে রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সোহরাবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মুঠোফোনে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ০৯ ইউপি সদস্যের অনাস্থার কপি পাওয়া গেছে। এবিষয়ে বিধি অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris